ঢাকায় জঙ্গি আস্তানায় যৌথ অভিযান : সুইসাইড ভেস্ট, গ্রেনেডসহ আটক ৭

Spread the love

অভিযান শেষ হলেও টহল দিতে দেখা যায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের
অভিযান শেষ হলেও টহল দিতে দেখা যায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক ও হাতে তৈরি গ্রেনেডসহ সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি। এসময় সেখান থেকে ৭জনকে আটক করা হয়। বুধবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া ১৪ ঘন্টার এ শ্বাসরুদ্ধকার অভিযানে অংশ নেন গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব সোয়াত ইউনিটের সদস্যরা। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাড়িটিকে বোমা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করছিল জঙ্গিরা।

ঘটনাস্থল, শাহ আলী থানার ৯ নম্বর রোডের ‘এ’ ব্লকের ওই বাড়ির সামনে থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এখান থেকে হাতে তৈরি ১৬টি গ্রেনেড, পিস্তলের ১৬ রাউন্ড গুলি, ২টি পাইপগান এবং ২০০টি বোমা তৈরির সমপরিমাণ বিস্ফোরক এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত হাতে তেরি গ্রেনেডের কয়েকটি
উদ্ধারকৃত হাতে তেরি গ্রেনেডের কয়েকটি

অভিযানের সময় জঙ্গিরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বাসার ভেতর গ্রেনেডের বিস্ফোরন ঘটায়। এতে প্রচণ্ড শব্দ সৃষ্টি হয় ও জানালার ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযান শুরুর পূর্বেই ওই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, জেএমবির সদস্যরা শাহ আলী থানাধীন ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিল। সেখান থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে জানিয়ে তিনি বলেন, এদের মধ্যে অন্তত তিনজন জেমএবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

আস্তানা থেকে যে গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে, অতীতে উদ্ধার করা গ্রেনেডের সঙ্গে সেগুলোর মিল রয়েছে। ওই ভবনের পাশের খোলা জায়গায় উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রীয় করা হয়েছে। বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সানোয়ার হোসেন নিষ্ক্রীয়করণ কাজের নেতৃত্ব দেন। সন্ধ্যায় নিষ্ক্রীয়করণের কাজ শেষ হয়।

বিস্ফোরক ছাড়াও সেখান থেকে দুটি কম্পিউটারসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করা হয়
বিস্ফোরক ছাড়াও সেখান থেকে দুটি কম্পিউটারসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করা হয়

মনিরুল ইসলাম আরও জানান, বাসাটি ছিল জেএমবির বোমা তৈরির কারখানা। সারা দেশে জেএমবি সদস্যদের বোমা সরবরাহ করতেই চার মাস আগে ওই বাসাটি ভাড়া নেয় তারা। স্থানীয় কলেজের ছাত্র পরিচয়ে ভাড়া নেওয়া হয় বাসাটি।

পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে বুধবার রাত ২টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। এরপর ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সেখানে অভিযান ও তল্লাশি চালানো হয়।


Spread the love

Leave a Reply