ঢাবিতে থাকছেনা দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ

Spread the love

Suprime Du

নাজমিন রিয়া, বাংলাদেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই বহাল থাকল। আজ বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ শুনানিতে অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই বহাল থাকল। দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ থাকার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন শূন্য হয়ে যায়। এর ফলে জাতির অনেক ক্ষতি হয়।’
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী কৌশলী সুব্রত চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না, আবেদনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে। রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রুল খারিজের পর তাদের কাউকে হতাশা ও কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা এতোদিন টানা দুইবার ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলেও গতবছর তা সীমিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতেই কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গত বছর ১৪ অক্টোবর ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু ওই বছর এইচএসসিতে উত্তীর্ণরাই অংশ নিতে পারবে, পুরনোরা নয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সে সময় টানা কয়েক দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করেন। এরপর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু ২৬ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক। তাদের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেয়। দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বাতিল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেইসঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মত ভর্তির সুযোগ রেখে নতুন করে সিদ্ধান্ত কেন দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরীক্ষা কমিটির সম্পাদক, সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক-২), ইউজিসি চেয়ারম্যান ও শিক্ষা সচিবকে এর জবাব দিতে বলা হয়। বিবাদীদের জবাব পাওয়ার পর সোমবার ও মঙ্গলবার এ রুলের ওপর আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও মেসবাহ উদ্দিন। শুনানি শেষে বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করে।


Spread the love

Leave a Reply