ব্রিটেন থেকে ‘উধাও’ বাংলাদেশি পরিবার আইএসে

Spread the love

89792_113348_1বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
যুক্তরাজ্য থেকে ‘উধাও’ হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পরিবারটি স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেট-আইএসের কাছে রয়েছে দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে আইএস এ দাবি করেছে। বিবৃতির সঙ্গে ওই পরিবারের প্রবীণ দুই সদস্যের একটি ছবিও পাঠিয়েছে আইএস।
পাঁচজন পুরুষ, চারজন নারী এবং তিনটি শিশুর ওই পরিবারটি ইসলামিক স্টেটসের সঙ্গে রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বদেশ ঘুরে ফেরার পথে গত মে মাসে ১২ সদস্যের ওই বাংলাদেশি পরিবারটি ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ব্যাপক গুঞ্জন চলছিল।
ওই পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে উগ্রবাদীরদের সম্পর্ক থাকার ঘটনা জানার পর যুক্তরাজ্য পুলিশ ধারণা করছিল, ওই পরিবারটি আইএসের সঙ্গে ভিড়েছে।
যুক্তরাজ্যের লুটন শহর থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পরিবারটি ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে বলে জঙ্গি সংগঠনটির দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ওই পরিবারের প্রধান আবদুল মান্নানের ভাই আবদুল লতিফ বলেছেন তাদের এধরনের বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
89815_150বাংলাদেশের সিলেট থেকে আবদুল মান্নানের ভাই আবদুল লতিফ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন “এটা মানা যায় না। ভাইকে হয় জোর করে এটা করানো হয়েছে অথবা এটা অসত্য।”
তিনি বলেছেন- ভাইয়ের সাথে তার যখন আলাপ হয়েছে তখন তিনি তাকে বলেছেন “তার এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে পরিস্থিতি তার ক্ষেত্রে হলে তিনিও যেতে বাধ্য হতেন।”
তবে কোথাও যাওয়ার কথা তিনি বলছিলেন তা তিনি জানতে পারেন নি বলে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে তিনি জানান।
আবদুল লতিফ বিবিসি বাংলাকে বলেন তার ভাই চলে যাওয়ার পনের বিশ দিন পরে তার সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলাপের সময় একথা বলেছেন। এর আগে শুক্রবারই বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছিলেন তার ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল ২১শে মে তারিখে।
আগে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লুটন প্রবাসী আবদুল মান্নানের পরিবারের ১২জন সদস্য বাংলাদেশে এক মাস ছুটি কাটিয়ে দেশ ছাড়েন ১১ই মে তারিখে।
মি: লতিফ বলেন সংক্ষিপ্ত আলাপের সময় তার ভাই বলেন তিনি ভাল আছেন। তাদের সম্পর্কে চিন্তা না করতে।
কীধরনের পরিস্থিতির কারণে তাকে বাধ্য হয়ে আর কোথাও যেতে হতে পারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার বড় ভাই তাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চান নি।
মি: লতিফ বলেন এক মাস সিলেটে গ্রামের বাড়িতে থাকা কালে তার ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক বৈষয়িক আলাপ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কথা হয় নি এবং অস্বাভাবিক কোনো কিছুই তিনি লক্ষ্য করেন নি।
তবে তিনি বলেন তার ভাতিজীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি উগ্রপন্থী বলে তার মনে হয়েছিল।
তিনি বলেন বিশেষ করে তার ভাতিজী রাজিয়া বাংলাদেশে খুব গরমের মধ্যেও যেভাবে সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখত এবং সবাইকে পুরো পর্দা করার পরামশ্য দিত তা তার কাছে কিছুটা অস্বস্তিকর মনে হতো।
লুটনের বাসিন্দা ১২ সদস্যের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই পরিবারটি গত দেড় মাস ধরে নিখোঁজ ছিলো।


Spread the love

Leave a Reply