তড়িঘড়ি দেশ ছাড়লেন পারভেজ মোশাররফ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

নিষেধাজ্ঞামুক্ত হবার মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পাকিস্তান ত্যাগ করলেন দেশটির সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন ৭০ বছর বয়সী এ জেনারেল। তিনি ‘স্পাইনাল কর্ডের’ জটিলতায় ভুগছেন। আর পাকিস্তানে এর চিকিৎসা অপ্রতুল হওয়ায় তার দুবাই যাওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করে আসছিলেন তারা।

গত বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট মোশাররফের দেশ ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট’ থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টার পরই শুক্রবার ভোরে দেশ ছাড়েন এ জেনারেল। এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলী খান জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সরকার মোশাররফকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন বলে জানান নিসার আলী খান।

মোশাররফের রাজনৈতিক দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ তার দেশে ফেরার ব্যাপারে দৃঢ়তা দেখিয়েছে। মোশাররফ নিজেও দুবাই উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে পাকিস্তানে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন কমান্ডো এবং আমার দেশকে ভালবাসি। কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই ফিরব আমি।

সুপ্রিম কোর্ট মোশাররফের বিদেশগমনে জারি নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দিলেও সরকার চাইলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারত। কিন্তু নওয়াজ শরীফের সরকার তা করেনি।

বিষয়টিকে পাকিস্তান সরকারের আগের অবস্থানের বিপরীত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৩ সালের নভেম্বরে নওয়াজ ক্ষমতায় আসার পরপরই মোশররফের বিরুদ্ধে একাধীক অভিযোগ আনা হয়। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৭০ বছর বয়সী এ জেনারেল বরাবরই বলছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ২০০৬ সালের বালুচ জাতীয়তাবাদী নেতা আকবর বাগতি হত্যার ঘটনায় গত জানুয়ারি মাসে নির্দোষ প্রমাণিত হন মোশাররফ। কী কারণে মোশাররফের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের আপাত ‘মীমাংসা’ হল তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।

১৯৯৯ সালে সেনাপ্রধান থাকাকালে এই নওয়াজ শরীফের সরকারকেই উৎখাত করে ক্ষমতায় এসেছিলেন পারভেজ মোশাররফ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পিপিরি নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হলে প্রায় এক দশকের সেনাশাসনের অবসান ঘটে পাকিস্তানে। পিপিপি ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশ ছাড়েন মোশাররফ। কিছুদিন দুবাই এবং পরে লন্ডনে অবস্থান শেষে ২০১৩ সালেল স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফিরেন মোশাররফ। তবে নানা কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।


Spread the love

Leave a Reply