ধর্ম বিষয়ে ভুল প্রশ্ন: ক্ষমা চাইলো বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক

Spread the love

বিবিসি এশিয়ার নেটওয়ার্কসামাজিক p01lclpcযোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ধর্মনিন্দার বিষয়ে ভুল প্রশ্ন করার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, টুইটারে বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কের পেজে প্রশ্ন করা হয়, ‘ধর্মনিন্দার শাস্তি কী হতে পারে?’ টুইটারে বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এ প্রশ্ন করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মুসলিম অধিকার কর্মী শাজিয়া আওয়ান ধর্মনিন্দার শাস্তি কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে অনুসারীদের মতামত চান। ফলে সংবাদ মাধ্যমটির এ ধরনের প্রশ্নে অনুসারীরা অনেক কষ্ট পেয়েছেন।

বিবিসি এশিয়ার নেটওয়ার্ককোনও কোনও মুসলিম প্রধান দেশে ধর্মনিন্দার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ভিডিওর উপস্থাপক মনে করেন ব্রিটেনেও ধর্মনিন্দুকদের এ ধরনের শাস্তি দেওয়া উচিত।

পরে বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে টুইটারে আরও একটি পোস্ট দেয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘দুর্বল শব্দ ব্যবহার করে প্রশ্ন করায় আমরা দুঃখিত। প্রশ্নটা মূলত ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পাকিস্তানের প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে করা হয়। যা আমাদের পরিস্কার করা উচিত ছিল।’

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারও সমালোচনা শুরু হয়। মারইয়াম নামাজি নামের এক ব্যক্তি বিসিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ককে ট্যাগ করে লেখেন, ‘এ মন্তব্য মর্যাদাহানিকর।’ এছাড়া শাজিয়া আওয়ানকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘তুমি কি জানো-এ প্রশ্নের জন্য মানুষকে হত্যা করা হতে পারে?’

বিবিসি এশিয়ার নেটওয়ার্কজেরেমি হোয়াড নামের এক অনুসারি লেখেন, ‘এটা দুর্বল শব্দের ব্যবহার না। এটা স্পষ্ট করে বলা যে ধর্মনিন্দা শাস্তিযোগ্য।’পাকিস্তানে ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিচার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ৬২ জনকে ব্লাসফেমির অভিযোগে হত্যা করা হয়।


Spread the love

Leave a Reply