নিবন্ধঃ সাংবাদিক যখন রাজনৈতিক দলের সমর্থক …

Spread the love

মোঃমশাহিদ আলী
সাংবাদিক যখন রাজনৈতিক দলের কর্মী হয় তখন কি হয় ? কি হতে পারে ? বিষয়টা কি সাংবাদিকতার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে ? এ নিয়ে অনেক ভেবেছি । কোন ভাবেই সাংবাদিকতার সংজ্ঞার মধ্যে সংযুক্তি করতে পারিনি ।বাংলাদেশে সরকারি কাজের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখন দলীয়করণ প্রতিষ্ঠিত সত্য। এটা নিয়ে কারও কোনো লজ্জা বা দুঃখবোধও নেই। সর্বশেষ গণমাধ্যম জগৎটাও তার বাইরে নয়।সাংবাদিকতায় আমার যেটুকু বয়স হয়েছে তা থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি আমার মনে হয় এই নিবন্ধটি লিখতে এর বেশি কোন তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন হবে না।
হঠাৎ আমি কেন এই প্রসঙ্গের অবতারণা করছি? এসব বিষয় এখন আলোচনা-সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তবু প্রসঙ্গটির অবতারণা করছি শুধু একটি কারণে তা হলো,বাংলাদেশি একটি টেলিভিশনে রিপোর্টে দেখলাম লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন না কি সাংবাদিকদের বিশেষ সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে । সেটা হচ্ছে “আমার জন্মভূমি ” শীর্ষক সম্মাননা । ঐ টেলিভিশন রিপোর্টে দেখলাম প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন । টেলিভিশনের রিপোর্টে দেখলাম কিছু সংখ্যক সাংবাদিক এখানে উপস্থিত আছেন । ওরা আওয়ামী সাংবাদিক । তাও এদের অনেকেই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন কিন্তু কে কোন পত্রিকায় বা টেলিভিশনে কাজ করেন আমার জানা নেই । এই টাইপের সাংবাদিক নিয়ে প্রেস মিনিস্টার মিঃ নাদিম ঘোষণা দিয়েছেন “আমার জন্মভূমি” সম্মাননা । অবশ্যই এটা তার জন্য বা তার আগেও এখানে যারা প্রেস মিনিস্টার ছিলেন তাদের জন্য নতুন কিছু নয় । সবাই এই রীতি মেনে চলেন ,না মানলে চাকরিটা চলে যাবে । কেউ কি চায় বঊ বাচ্চা নিয়ে সরকারী গাড়ি-বাড়ি নিয়ে লন্ডনের মতো জায়গায় থাকার সুযোগটা হাত ছাড়া হউক ? নিশ্চয় চাইবে না । মিঃ নাদিম কেন এর ব্যতিক্রম হবেন ? আমি জানি এই লেখাটা মিঃ নাদিম যখন পড়বেন আমার উপর ক্ষেপে যাবেন । অথবা আওয়ামী দলীয় যে সকল সাংবাদিক আছেন তারা ক্ষেপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন । তাতে আমার কিছু যায় আসেনা । আমার লেখা থেকে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে কিছু করার নাই তবে আমি আহবান জানাব হিংস্র দলীয় চিন্তা চেতনা থেকে নিজেকে ক্লিন করে একটা পরিস্কার নিরপেক্ষ বিবেকবান মানুষ হিসেবে নিজেকে সংশোধন করে নিতে । কারন মিঃ নাদিম যে বেতনটা পান সেটা বাংলাদেশের জনগনের টাকা । সেটা আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি দলীয় কোন নেতা নেত্রীর পকেটের টাকা না । একদিন এই অনৈতিক কাজের জবাবদিহি সবাইকে করতে হবে ।
 
প্রশ্ন হলো ঐ প্রেস মিনিস্টারের সংবাদ সম্মেলনে যারা ছিলেন তারা কারা ? তারা কয়জন সাংবাদিক? হাই কমিশনের লিস্টে কি শুধু আওয়ামী সাংবাদিকরা ? এটাই যদি হয় তাহলে বলার মতো কোন সভ্য ভাষা আমার জানা নেই । শুধু এটাই বলব – হাই কমিশন না , এটা আও্যামীলীগের দলীয় কার্যালয় । এখানে বাংলাদেশ হাই কমিশন না লিখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যালয় লিখা শ্রেয় হবে বলে মনে করি ।
 
এবার আসি মূল বিষয়ে যারা দলীয় সাইবোর্ড নিয়ে সাংবাদিকতা করেন । আমি জানতাম গণমাধ্যমের নেতারা আগে পরোক্ষভাবে দলবাজি করতেন। কিছুটা আড়াল করতেন। নিজেদের ‘দলীয় সমর্থক’ বলে পরিচয় দিতেন। অন্য দশটি পেশায় ‘দলীয় সমর্থক’ পরিচয় দেওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশায় ‘দলীয় সমর্থক’ পরিচয় দিতেও অনেকে দ্বিধান্বিত হন। সাংবাদিকতা এমন এক পেশা যেখানে সব দল ও মতের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হয়। এমনকি চরম সন্ত্রাসী, জঙ্গি, সাম্প্রদায়িক শক্তিকেও গুরুত্ব দিতে হয় শুধু পেশাগত কারণে। তাদের বক্তব্য শুনতে হয়। অবিকৃতভাবে প্রকাশ বা প্রচার করতে হয়। মতামত দেওয়ার সময় সাংবাদিক তার মতামত স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন। কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকলে বা বিরাগ থাকলে বস্তুনিষ্ঠ বা সৎ সাংবাদিকতা করা সম্ভব হয় না। হয়তো সে জন্যই সাংবাদিকতার আন্তর্জাতিক পণ্ডিতরা অনেক আগেই বলে গেছেন : ‘সাংবাদিকের বন্ধু থাকতে পারে না।’ কথাটিকে আক্ষরিক অর্থে নিলে অযথা বিতর্ক হতে পারে। এখানে আসলে বলা হয়েছে : ‘কারও প্রতি সাংবাদিকের দুর্বলতা থাকতে পারে না।’
 
যদিও বাংলাদেশের বর্তমান সাংবাদিকতা সম্পর্কে এসব নীতিকথা প্রযোজ্য নয়। ‘৯০-পরবর্তী সাংবাদিক সমাজ এ দেশের সাংবাদিকতা পেশাকে ভিন্ন একটি রূপ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কাঠামো, চরিত্র বা নৈতিকতার সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। প্রবীণ সাংবাদিকদের অনেকেই বর্তমান সাংবাদিকতার অনেক নিয়ম-কানুন, ভঙ্গি, আচরণ মেনে নিতে পারেন না। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে নানা সুবিধা নেওয়াও সেরকম একটি কাজ। বর্তমান প্রজন্মের অনেক পেশাদার সাংবাদিকও তা মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু তারা অসহায়। কারণ অনেক পত্রিকা ও টিভির মালিকও বড় দুই দলের সঙ্গে যুক্ত। তারা মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের দলকে (দেশকে নয়) সেবা করতে চায়। কাজেই গণমাধ্যমের নীতিবান সাংবাদিকরা সত্যিই অসহায়। সুযোগসন্ধানী সাংবাদিকরা এই পরিস্থিতি নিজেদের স্বার্থে ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। শোনা যায়, এরকম সুযোগসন্ধানী স্মার্ট সাংবাদিকদের অনেকেই ‘ম্যাডাম’ আর ‘আপার’ নাম ভাঙিয়ে বা প্রভাব কাজে লাগিয়ে অল্প বয়সেই বড় বড় পদ, বিপুল অর্থ ও সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন। গণমাধ্যম জগতে এগুলো এখন ওপেন সিক্রেট।
 
আগে এসব দলবাজি পরোক্ষ ভঙ্গিতে ছিল। এখন তা অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। তাতে এসব সাংবাদিক বিন্দুমাত্র বিব্রত বা লজ্জিত নন, বরং গর্বিত! তারা রাজনীতির মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করছেন! শুধু সাংবাদিকতা করলে তো দেশের জন্য কাজ করা হয় না!!
 
এই তো গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জংগিবাদ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন । লাইভ অনুষ্ঠানটি দেখেছিলাম ।সেখানে একজন মহিলা সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে  প্রশ্ন করেছিলেন । প্রশ্ন ধরনটি এমন ছিল সরাসরি বিরোধী দলকে ইংগিত করে। তিনি বলেছিলেন বিএনপি জামায়াত এসকল জংগিবাদের সাথের সম্পৃক্ত । তিনি প্রধান মন্ত্রী ওদের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন ? আচ্চা , পাঠকরাই বলবেন এটা কে কি প্রশ্ন বলা যায় ? অথবা সাংবাদিকতার কোন সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে ? না আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ট কর্মী বলা যায় ঐ মহিলাকে । এমন সাংবাদিক আর সংবাদ পত্র এখন বাংলাদেশে । এ ধরনের প্রকাশ্য রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন কি সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষিত করতে সহায়তা করে না?
 
একজন সম্পাদক যদি তার পত্রিকায় কোনো একটি দলের জন্য নিয়মিত ‘উচ্চস্বরে’ লেখালেখি করেন, তাও শোভন নয়। তা জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকসুলভ কাজ হতে পারে না। অথচ তা আমাদের দেশে হচ্ছে। এ ধরনের ব্যক্তির কি প্রকৃত ‘সম্পাদকের’ মর্যাদা পাওয়া উচিত? কোনো দলীয় পত্রিকার সম্পাদক তা করতে পারেন। যদি দাবি করা হয় পত্রিকাটি একটি দলের মুখপত্র।
 
একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক তার প্রিয় রাজনৈতিক দলকে সহায়তা করতে চাইতেই পারেন। তবে তা পত্রিকা বা টিভির চাকরি বা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে করাই উচিত। তার রাজনৈতিক দায়িত্ব যেন সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালনে কোনো বাধা হতে না পারে। বা রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন যেন পাঠক বা দর্শকের মধ্যে তার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে।
 
সাম্প্রতিককালে টিভি মিডিয়ায় ‘রাজনৈতিক টকশো’ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনেক পেশাদার সাংবাদিক এসব টকশোতে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করছেন। দর্শকের ধারণা, এসব ক্ষেত্রে মডারেটররা হবেন দল-নিরপেক্ষ। আলোচকদের মতামত জানা ও সত্য অনুসন্ধানের জন্য মডারেটর চেষ্টা করেন। সেই মডারেটর যদি একটি রাজনৈতিক দলের মিডিয়া উপদেষ্টা হয়ে বসেন তাহলে তার নিরপেক্ষতা বা বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে আলোচক ও দর্শকের তো সন্দেহ জাগতেই পারে। অনেক টকশোর উপস্থাপক, তাদের বক্তব্য, প্রশ্ন ও দেহভাষার মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক আনুগত্য লুকানোর চেষ্টাও করেন না। বরং দলীয় পরিচয় নিয়ে তিনি যেন গর্বিত। হয়তো এর ফলে তার লাভও হচ্ছে।
 
এদিকে বিদেশি দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টার পদে নিয়োগ পাওয়া এখন একেবারেই দলীয় আনুগত্যের ব্যাপার। তার যোগ্যতা বা দক্ষতা বিবেচনার বিষয় নয়। এ জন্য কোনো লোক দেখানো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাও হয় না।লন্ডনের প্রেস মিনিস্টার মিঃ নাদিম কতটুকু যোগ্যতা নিয়ে এসেছেন জানি না । অবশ্যই ব্রিটিশ কারি এওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে দেখেছিলাম তার হাই কমিশনারও ভালভাবে ইংলিশ বলতে পারেনি ।একজন বাংলাদেশি হিসেবে তখন লজ্জিত হয়েছিলাম যে দেশের হাই কমিশনার না কি ইংলিশ বলতে গিয়ে হু-হা করেন । সে যাক  একজন সাংবাদিক দেশে প্রতি মাসে যা আয় করেন অন্তত তার ১০ গুণ টাকা বিদেশের চাকরিতে পান। তার চেয়েও বড় আকর্ষণ বিদেশে সপরিবারে থাকা। বিদেশের মাটিতে সরকারি খরচে গাড়ি, বাড়ি ফ্রি। একজন মধ্যবিত্ত সাংবাদিক জীবনে নিজের টাকায় কখনো বিদেশে যেতে পারেন না। এদের কাছে এটা তো রীতিমতো আলাদিনের চেরাগ দিয়ে স্বপ্ন পূরণ। সে দলবাজি করবে না তো কে করবে!
 
গত পাঁচ বছর যাবৎ বলা হচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভালো নয়। বিদেশি পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশ সরকারের নানা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক ও সমালোচনামূলক খবর, মন্তব্য ও কলাম প্রকাশিত হয়েছে। গত টার্মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিদেশি পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে যত সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে, তা এর আগে কখনো হয়নি। এমনকি এরশাদ আমলেও এতটা হয়নি। তাহলে বিদেশের দূতাবাসে বসে আমাদের দদলীয় প্রেস মিনিস্টাররা কী করলেন এতদিন? তার জবাব কি কেউ জানতে চেয়েছেন?
 
দলীয় সাংবাদিকরা আরও নানাভাবে উপকৃত হন। সব উপকার দেখা যায় না। তবে অনেক সাংবাদিক যে কোনো কোনো আমলে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান, তা অনেকের চোখকেই পীড়িত করে।
 
দুই বড় দলের সরকার ও নেতারা এর সুযোগ ভালোভাবেই গ্রহণ করছে। তারা কিছু সাংবাদিক পোষেন। এদের বলা যায় ‘গৃহপালিত সাংবাদিক’। এরা মিডিয়ায় দল দুটির স্বার্থ রক্ষা করেন।
 
এই পটভূমিতে আমি একটা প্রশ্ন তুলতে চাই। তা হলো- এদের কি ‘সাংবাদিক বলা উচিত? এরা সাংবাদিক হলে দল-নিরপেক্ষ, স্বাধীন, নির্ভীক গণমাধ্যম কর্মীকে কী বলব? ওরাও সাংবাদিক? তাহলে পার্থক্য কী হলো? একটি গ্রুপ বড় দুটি দল থেকে নানা সুবিধা নিয়ে ‘সাংবাদিকতা’ করছে, আরেকটি গ্রুপ কোনো সুযোগ-সুবিধার তোয়াক্কা না করে নির্ভীকভাবে, কারও স্বার্থ রক্ষা না করে, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করছে। দুই গ্রুপকে কি একই সম্মান দেওয়া যায়? দেওয়া উচিত?
 
দলদাস ‘সাংবাদিকদের’ আমরা বিভিন্ন দলের ‘জনসংযোগ কর্মকর্তা’ বলতে পারি। জনসংযোগ কর্মকর্তা কোনো খারাপ পদবি নয়। এটাও একটা সম্মানীয় পেশা।
 
সাংবাদিকতা পেশার কিছু শর্ত আছে। সাংবাদিক হতে হলে সেসব শর্ত মেনে চলতে হয়।
 
বিষয়গুলো নিয়ে আরও ভাবা দরকার। বাংলাদেশের দূষিত রাজনীতি অনেক পেশাকে প্রায় ধ্বংস করে এনেছে। সাংবাদিকতা পেশার ব্যাপারে আমরা এখনই সচেতন না হলে এই পেশার সম্মান ও ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে পারব না। ইতোমধ্যে এ পেশার একটা বড় অংশ কলুষিত হয়ে পড়েছে। সবটা রাজনৈতিক কারণে হয়নি। কিছুটা অনৈতিকতা ও দুর্নীতির কারণেও হয়েছে। এটাও খুব উদ্বেগের বিষয় যে, সাংবাদিকতার পবিত্র অঙ্গনে দুর্নীতি ক্রমে ক্রমে ঢুকে পড়েছে। এটা সংবাদপত্র জগতে ওপেন সিক্রেট।
 
এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। আমাদের জাতীয় রাজনীতি, ছাত্ররাজনীতি, গণতন্ত্র, জাতীয় সংসদ, নির্বাচন, সরকারি প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা ইত্যাদি কি সবার চোখের সামনে কলুষিত হয়ে যায়নি? আমরা কী করতে পেরেছি? সাংবাদিকতা পেশাকেও কি আমরা এভাবে কলুষিত হতে দেব?

Spread the love

Leave a Reply