পাকিস্তানের আলটিমেটাম : সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশি কূটনীতিককে

Spread the love

বাংলাদেশি কূটনীতিক মৌসুমী রহমান
বাংলাদেশি কূটনীতিক মৌসুমী রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহারের জের ধরে এবার ইসলামাবাদ থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বলেছে পাকিস্তান। কাল বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে তাঁকে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে, তার কোনো কারন ব্যখ্যা করেনি পাকিস্তান।

উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসেনকে তলব করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে সময় মৌসুমী রহমানকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানাতে বলা হয়।

সোহরাব হোসেন বাংলাদেশে ছুটিতে আসার পর মৌসুমী রহমান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু আদতে মৌসুমী পাকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসে রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।

জানা গেছে, ফারিনা আরশাদকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ যেমন পাকিস্তানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল, তেমনি মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে ঢাকাকে মৌখিকভাবে বলেছে ইসলামাবাদ।

এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে মৌসুমী রহমানকে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে সরকার ঢাকায় ফিরিয়ে আনছে না। তাঁকে পর্তুগালে বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাকিস্তান থেকে সরাসরি লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগ দিবেন মৌসুমী।

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজনৈতিক সচিব ফারিনাকে তাঁর দেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। গত ২৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান। ধারনা করা হচ্ছে ওই ঘটনার পাল্টা জবাব হিসেবে বাংলাদেশী কূটনৈতিক প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশসহ (জেএমবি) বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনকে অর্থায়নের অভিযোগ ওঠে ফারিনার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া একজন গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি জিজ্ঞাসাবাদে ফারিনার অর্থায়নের বিষয়টি জানায়।

এদিকে, মৌসুমী রহমানকে সরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের তরফে স্পষ্ট কিছু বলা হচ্ছেনা। তবে ধবার বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে শুধু বলেন, পাকিস্তান তাদের দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে, তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়। বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে কেন প্রত্যাহার করতে হবে এর কোনো ব্যাখ্যা পাকিস্তান দিতে পারেনি- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।


Spread the love

Leave a Reply