‘পানামা পেপার্স ফাঁস রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র’

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

চাঞ্চল্যকর পানামা পেপার্সে নাম থাকা ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে এটি রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।

ফাঁসের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে কর ফাঁকি প্রতিরোধের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অপরাধের এ তথ্য ফাঁসের পর মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। আন্তর্জাতিক করনীতি সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফাঁস হওয়া নথিতে মিলছে বিভিন্ন দেশের রাঘববোয়ালদের আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির খবর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নামও রয়েছে আলোচিত এ নথিতে।

এতদিন চুপ থাকলেও বৃহস্পতিবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন । এক টিভি সাক্ষাৎকারে তার ঘনিষ্ঠজনের বিরুদ্ধে দুনীর্তির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করার জন্য পানামা পেপারস ফাঁস করা হয়েছে। তারা (পশ্চিমা বিরোধিরা) চাইছে আমাদেরকে তাদের অনুগত করতে।

পুতিনের অভিযোগ, যেহেতু তার বিরোধিতারা পানাম পেপারসে তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি খুঁজে পায়নি তাই তারা একটা তথ্য ছেড়েছেন। তারা এতে আমার ঘনিষ্ঠজনের নাম খুঁজে পেয়েছে এবং সেখান থেকে কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের সম্পর্কে আঘাত হানতে চেয়েছে।

পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয় গত সোমবার। ওই নথিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নিকটাত্মীয়দের নাম আসে। এছাড়াও আছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের পিতা ইয়ান ক্যামেরনের নাম।

এ তালিকায় আরও আছে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমন্ডুর ডেভিড গুনলাগসন, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদ, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের এক ছেলে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুই ছেলে ও এক মেয়ের নাম।

রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের পাশাপাশি ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি,ভারতের চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর পুত্রবধূ অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নামও পাওয়া গেছে ওই নথিতে। নথিতে ফাঁস হওয়ার পর বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমন্ডুর ডেভিড গুনলাগসন।


Spread the love

Leave a Reply