প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরোধ তুঙ্গে

Spread the love

BorisMayবাংলা সংলাপ ডেস্কঃবৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস  জনসনের মধ্যে বিরোধ কঠিন আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি দলীয় এক সম্মেলনে তা প্রকট হয়। ওই সময়ই তথ্য ফাঁস হয় যে, প্রায় ৩০ জন এমপি তেরেসা মে’কে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বরিস জনসন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনবেন বলে জোর গুজব শোনা যায়। বলা হয়, বরিস জনসনসহ পজ্যষ্ঠ অনেক মন্ত্রীকে বাদ দিতে পারেন অথবা তাকে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে পারেন তেরেসা মে। যদি তিনি এমনটা করেই বসেন তাহলে এর বিরোধিতা করবেন জনসন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এ কথা। তার মিত্ররা বলেছেন, বরিস জনসনকে বরখাস্ত করা হলে তাতে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বৃটিশ সরকার। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হবেন না। সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এ কথা বলেছে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এ বিষয়ে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন তেরেসা মে’রই একজন মন্ত্রী। বরিস জনসনকে সরিয়ে দেয়ার কর্তৃত্বে বা ক্ষমতায় ঘাটতি আছে প্রধানমন্ত্রীর। ওই মন্ত্রী দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছেন, ধরুন বরিস জনসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন বরিস বলতে পারেন, না। ধন্যবাদ আপনাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপের জবাবে অস্বীকৃতি জানান। তখন প্রধানমন্ত্রী কি করবেন? প্রশ্ন রাখেন ওই মন্ত্রী।  তিনি আরো বলেন, ডাউনিং স্ট্রিট থেকে ‘মৃত্যুর বার্তা’ আসছে। ধরুন যদি বরিস জনসনকে সরিয়ে দেয়া হয় এবং আপনি যদি ব্রেক্সিটপন্থি হন তাহলে আপনাকে যথেষ্ট উদ্বেগে পড়তে হবে। আপনাকে তখন মন্ত্রিপরিষদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তাতে দেখতে পারেন মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন ব্রেক্সিট বিরোধীরা। অন্য এক মন্ত্রী বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য এই মুহূর্তে ব্রেক্সিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ব্যর্থ হই, তবে জাতি কোনোদিন আমাদের ক্ষমা করবে না। আর এই স্পর্শকাতর মুহূর্তে মন্ত্রিপরিষদে রদবদলের সিদ্ধান্ত হবে চরম আত্মঘাতী। বরিস জনসনকে অপসারণ করা হলে তাতে জনমনে ব্রেক্সিট নিয়ে চরম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। এতে ফল হবে উল্টো।
অন্যদিকে চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ডকে বরখাস্ত করার জোর দাবি উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কারণ তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রেক্সিট সমঝোতাকে জটিল করে তোলার অভিযোগ আছে। এ প্রসঙ্গে এক মন্ত্রী দ্য টেলিগ্রাফকে জানান, তিনি (চ্যান্সেলর হ্যামন্ড) সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকারের জন্য কি করেছেন এ বিষয়ে তিনি দেশের ভিতরে কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা দিতে পারেননি। তিনি বিরক্ত। মানুষের অধঃপতনের বিষয়ে তিনি কথা বলেন। আর ব্রেক্সিটকে করে তুলেছেন কঠিন থেকে কঠিনতর। ওদিকে চ্যান্সেলর হ্যামন্ডের একজন মিত্র বলেছেন, চ্যান্সেলর খুব পরিষ্কার করে বলেছেন যে, ২০১৯ সালের মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা কাস্টমস ইউনিয়ন ও একক বাজার ত্যাগ করছি। তিনি এ প্রক্রিয়াকে মোটেও বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন না।


Spread the love

Leave a Reply