বাংলাদেশ হাই কমিশনের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ

Spread the love

bd-h-cবিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও ভোটার আইডি কার্ড প্রদানের দাবীতে ব্রিটেনের বৃহত্তম কমিউনিটি সংগঠন গ্রেটার সিলেট ডেভলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের একটি ডেলিগেশন টিম হাই কমিশনে গমন করেণ। হাই কমিশনার  নাজমুল কাউনাইনের সাথে বিকেল ২ টায় সাক্ষাতের পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী ছিল। উক্ত ডেলিগেশন দলে ব্রিটেনের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিশেষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ২ ঘটিকার কিছুক্ষণ পরে তাদেরকে ফার্স্ট ফ্লোরে হাই কমিশনারের পাশের কক্ষে নেয়া হয়। ডেলিগেশন টিমের নেতৃবৃন্দ যখন পাশের রুমে অপেক্ষা করছিলেন তখন তাদেরকে এসে একজন অফিসার বলেন যে, ‘যিনি হাই কমিশনারের সাথে সাক্ষাতের জন্য এপয়েন্টমেন্ট করেছিলেন তিনি কোথায়? তাকে উত্তরে বলা হয় যে, ঐ কমিউনিটি নেতার আসতে বিলম্ব হচ্ছে। পরে তিনি ঐ কমিউনিটি নেতার সাথে কথা বলে এসে বলেন যে, হাই কমিশনার সবার সাথে দেখা করবেন না। সংগঠনের চেয়ার ও সেক্রেটারি হাই কমিশনারের অফিস কক্ষে যাওয়ার জন্যে যেতে বলেন। পরে তারা দুজন হাই কমিশনারের রুমে গিয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। হাই কমিশনারের হটাত এমন রহস্যজনক এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে আগত নেতৃবৃন্দ বিব্রত বোধ করেন। অসৌজন্যমূলক আচরণে সাথে সাথেই কয়েকজন নেতৃবৃন্দ হাই কমিশন ছেড়ে চলে আসেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, এ ব্যাপারে প্রেস মিনিস্টারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। বর্তমানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার পদ খালি। সাবেক প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির চলে যাওয়ার পর আর কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

হাই কমিশন সম্পর্কে আরও অভিযোগ জানা যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন যে, নতুন হাই কমিশনার আসার পরে তিনি কমিউনিটির সবাইকে এড়িয়ে চলেন। সরকার দলীয় কিছু নেতা ও সাংবাদিকদের সাথে তারা বিশেষ সম্পর্ক রেখে চলেন। এতে কমিউনিটির মধ্যে বিভক্তি ও সাধারণের স্বার্থ বিনষ্ট হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশ হাই কমিশন সরকার ও সরকার দলীয় চাটুকারদের সম্পর্ক রক্ষায় এ যাবত কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আরেকটি অভিযোগ প্রায়ই শুনা যায়, এই হাই কমিশনে ফোন বা ইমেইল রেসপন্স কালেভদ্রে পাওয়া যায়। তাছাড়া হাই কমিশনে আগত সেবা গ্রহিতাদের প্রতি কথা ও আচরণ ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডের ধারে কাছেও নেই বলে অনেকেই মনে করেন। ফলে এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও সেবাদান নিয়ে কমিউনিটির লোকজনের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইতোপূর্বে আইনমন্ত্রীর সাথে হাই কমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনকে আহবান করা হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ব্রিটেনের সকল কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।


Spread the love

Leave a Reply