বৃটিশ পার্লামেন্টে দিনে ১৬০ বার পর্নোগ্রাফি

Spread the love

commonsparliament0111aবাংলা সংলাপ ডেস্কঃবৃটিশ পার্লামেন্টের ভিতরে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ বার পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারা হয়। পার্লামেন্টের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত এমন ডিভাইস ব্যবহার করে এসব সাইটে প্রবেশ করেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর জুনে জাতীয় নির্বাচনের পর এমন ডিভাইস ব্যবহার করে পার্লামেন্ট থেকে মোট ২৪ হাজার ৪৭৩ বার পর্নো সাইটে প্রবেশ করেছেন তারা। বৃটেনের প্রেস এসোসিয়েশন (পিএ) ফ্রিডম অব ইনফরমেনেশনের একটি অনুরোধে তথ্য চেয়ে আবেদন করলে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন জি নিউজ। বৃটেনের প্রেস এসোসিয়েশন সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এমনিতেই ওয়েস্টমিনস্টারে যৌন কেলেঙ্কারিতে নাজেহাল বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তার মন্ত্রীসভার ও দলীয় কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের শেষ ভাগে রগরগে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। এর ফলে একজন মন্ত্রী পর্যন্ত পদত্যাগ করেন। তেরেসা মে এমন অবস্থায় একজন মন্ত্রী ও তার দীর্ঘ দিনের বন্ধু ডামিয়েন গ্রিনকে গত মাসে পদ থেকে সরিয়ে দেন। কারণ, ২০০৮ সালে ওয়েস্টমিনস্টার অফিস থেকে ডামিয়েন গ্রিনের জব্দ করা কম্পিউটারে পাওয়া গেছে প্রচুর পর্নোগ্রাফি। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের কাছে মিথ্যা বলেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার কম্পিউটারে প্রমাণ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তেরেসা মে ওই সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, বৃটিশ পার্লামেন্টে যে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক আছে তা ব্যবহার করেন এমপিরা, উচ্চকক্ষের লর্ডরা ও তাদের স্টাফরা। কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, পর্নোগ্রাফিকে স্বত্বঃপ্রণোদিত হয়ে সব ক্লিক করা হয় নি। সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে এর প্রবণতা কমেছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পর্নোগ্রাফিতে প্রবেশের এক লাখ ১৩ হাজার ২০৮টি চেষ্টা আটকে দেয়া হয়। ২০১৫ সালে তা ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ২০টি। এ তুলনায় ২০১৬ সালে পর্নোগ্রাফিতে প্রবেশের চেষ্টা কমেছে। বৃটিশ পার্লামেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পার্লামেন্টের কমপিউটার নেটওয়ার্কে সব পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও যারা এটা করেছেন তারা ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন।


Spread the love

Leave a Reply