ব্রিটিশ সেনার দল এস্তোনিয়ায়
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃন্যাটো অঞ্চলের সীমান্তে প্রতিরক্ষা জোরদার করতে ব্রিটিশ সেনাদের প্রথম দলটি বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়ায় পৌঁছেছে। যুক্তরাজ্যের ১২০ জন সেনা অক্সফোর্ডশায়ারের রয়্যাল এয়ারফোর্স (আরএএফ) ঘাঁটি থেকে গত শুক্রবার উড়াল দেয়। এস্তোনিয়ায় তাঁদের স্বাগত জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারগুস সাহকনা।
ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত এস্তোনিয়ায় এ জোটের সেনাদের সঙ্গে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের ৮০০ সেনা পাঠানোর কথা। প্রথম দফায় পৌঁছানো দেশটির এই সেনারা আগামী এপ্রিল মাসের আগেই এস্তোনিয়ায় ব্রিটিশ সেনাদের সদর দপ্তর স্থাপন করবে। এরপর ওই মাসে বাকি সেনারা সেখানে পৌঁছাবে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন এবং ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থানরত জোট মিত্রদের আশ্বস্ত করতে সেনা পাঠানো জরুরি।
স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের কোনো দেশে যুক্তরাজ্য এই প্রথম এত বেশি সেনা মোতায়েন করছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেন, এস্তোনিয়ায় এই সেনারা প্রতিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে, ইউরোপের পূর্ব সীমান্তে ন্যাটো জোটের শক্তিবৃদ্ধি এবং ‘অগ্রবর্তী অবস্থান পরিচালনাকাজ’ এগিয়ে নিতে যুক্তরাজ্য দায়িত্ব নিচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক, এএস-৯০ স্বচালিত অস্ত্র ও সাঁজোয়া যানও এস্তোনিয়ার পথে রয়েছে। এগুলো জার্মানি থেকে একটি ফেরিতে তোলা হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে দেশটিতে পৌঁছাবে।
ইউক্রেন সংঘাতের সূত্র ধরে ২০১৪ সালে দেশটির কাছ থেকে ক্রিমিয়া নিজের সঙ্গে যুক্ত করে নেয় রাশিয়া। এরপর থেকেই এস্তোনিয়াসহ তিন ছোট বাল্টিক দেশ ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় ন্যাটোর অন্য সহযোগী দেশগুলো বাকি দুই বাল্টিক রাষ্ট্র লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে সেনা পাঠাতে শুরু করেছে। এসব দেশে যুক্তরাজ্যেরও দেড় শ সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জা