ব্রিটেনে ওবামা : ইইউতে থাকার পক্ষে মত

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান তিনি। যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর স্ট্যান্ডস্টেড বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে স্বাগত জানান লর্ড লেফটেন্যান্ট অব এসেক্স, জন পিতার এবং যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ বারজান।

শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা রাণীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ এবং যুবরাজ উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেটের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবার কথা রয়েছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য রাখবেন তিনি।

2এদিকে, যুক্তরাজ্য সফরের শুরুতেই ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা।

শুক্রবার প্রকাশিত নিবন্ধে ওবামা বলেন, ইইউতে থাকার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য চাকরি, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুফল পেয়েছে এবং এটি যুক্তরাজ্যের প্রভাবকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের চুক্তি থেকে শুরু করে চাকরি সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন পর্যন্ত সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড আরো কার্যকর হবে যদি এটি ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এখন সময় এসেছে বন্ধু ও মিত্রদের একজোট হয়ে থাকার। এছাড়া ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে ওবামা বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে রক্ত বিসর্জন দিয়েছি।

ইইউতে ব্রিটেনের ভিবষ্যৎ বিষয়ে আগামী ২৩ জুন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউ ছাড়ার বিষয়ে তার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছিলেন। এই গণভোটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত, এবং ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টিই এ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এ নিয়ে কথা বলাটা এখানে বিতর্ককে আরো তীব্র করেছে।

আগেই ওবামার এমন বক্তব্য দিতে পারেন আশঙ্কা করে ওবামার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠতম মিত্র তাই আমরা ইইউতে থাকবো কিনা- এ প্রশ্নে ওবামার মনোভাব অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।


Spread the love

Leave a Reply