ব্রেক্সিট আইন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উঠছে শুক্রবার

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) সংক্রান্ত সকল আইন অনুমোদনের জন্য সংসদে উঠছে শুক্রবার। সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় জয়ের পর যেন আর তর সইছে না বরিস জনসনের। আসন্ন বড় দিনের উপহার হিসেবে শুক্রবারই আইনটি পাশ করাতে সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র।

মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি ইইউ এর সঙ্গে বরিস জনসনের করা ব্রেক্সিট চুক্তির শর্তাবলি অন্তর্ভুক্ত করে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হবে। ইইউ’র সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে সরকার আশাবাদী বলেও জানান এই মুখপাত্র।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বরিস জনসনের মূল লক্ষ্য ছিলো যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে নিয়ে আসা। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে ব্রিটেনকে ইইউ জোট থেকে বের করে আনবেন। তবে সংসদে বিরোধী পক্ষ ও নিজ দলের আইন প্রণেতাদের বিরোধীতার মুখে তা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিলো না। তাদের দাবি ছিলো এ বিষয়ে ইইউ’র সঙ্গে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে পৌঁছা।

অনেক নাটকীয়তা শেষে ১৭ অক্টোবর ইইউ ও যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট ইস্যুতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সমর্থ হয়। এর পরদিন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা একযোগে সেই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানান। বাকি থাকে কেবল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সমর্থন।

পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য বিশেষ এক অধিবেশন ডাকেন বরিস জনসন। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আবারও সংসদের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ব্রেক্সিট চুক্তি। বাধ্য হয়ে ইইউকে স্বাক্ষরবিহীন এক চিঠির মাধ্যমে ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সংসদে এই আইন পাশ করাতে জনসনের সামনে একটি পথই খোলা থাকে। তা হলো- আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকার গঠন। সে লক্ষ্যে সংসদে আগাম নির্বাচনের আর্তি জানান জনসন। এবার আর সংসদ তাকে বিমুখ করেনি। সিদ্ধান্ত হয় ১২ ডিসেম্বর হবে আগাম নির্বাচন।

সে অনুযায়ী গত ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঐতিহাসিক জয় পায় জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। এই জয়কে ব্রেক্সিটের প্রতি যুক্তরাজ্যের মানুষের সমর্থন হিসেবে ধরা হচ্ছে। তাই জনসনের সরকারের এখন মূল লক্ষ্য দ্রুত ব্রেক্সিট চুক্তি সংসদে পাশ করানোর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের নতুন দিনের সূচনা করা।


Spread the love

Leave a Reply