ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরো এক মন্ত্রীর পদত্যাগ
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরো একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে আবার একটি বড় ধাক্কা খেলেন। এবার পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী স্যাম গাইমাহ। তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাকে নিয়ে এ ইস্যুতে তিনি সহ ৭ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। তিনি অনুচ্ছেদ ৫০ এর অধীনে ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময় বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার যখন ‘উইড্রয়াল এগ্রিমেন্ট’ নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা তার আগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বসলেন স্যাম। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।স্যাম গাইমাহ বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে তিনি ব্রাসেলসের সঙ্গে যেনেতেন একটি চুক্তিকে সমর্থন করবেন না। এমন চুক্তি জাতীয় কোনো স্বার্থে আসবে না। ডেইলি মেইল লিখেছে, ৪২ বছর বয়সী স্যাম গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এখন তিনি পার্লামেন্টের সামনের সারি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে সরকারকে যেন সুতায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন। স্যাম গাইমাহ বৃটেনের ইস্ট সারে থেকে নির্বাচিত এমপি। তার পদত্যাগপত্র এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ফেসবুকে। তাতে তিনি লিখেছেন, অনুচ্ছেদ ৫০ এর অধীনে সময় বাড়ানো এবং আরেকটি গণভোট ছাড়া এ সময়ে আর কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। তিনি বলেছেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি তা অপরিবর্তনযোগ্য। তাই এতজন এমপি প্রতিটি দিক থেকে আমাদের সুযোগ বা বিকল্পগুলোকে ভেবে দেখতে বলছেন। তাই কেমন ভবিষ্যত চায় জনগণ তাদের কাছে আর একবার সে বিষয়টি জানতে যাওয়ার সুযোগটা নষ্ট করে দেয়া উচিত নয়।
ওদিকে মঙ্গলবার ‘উইড্রয়াল এগ্রিমেন্ট’ নিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময়ে স্যাম গাইমাহর মতো প্রথম সারি নেতার পদত্যাগের ঘটনায় বড় একটি আঘাত লাগতে পারে বলে আতঙ্কিত ডাউনিং স্ট্রিট। উল্লেখ্য, এর আগে পদত্যাগ করেছেন ডোমিনিক রাব, এস্থার ম্যাকভি, সুয়েলা ব্রেভম্যান, রণিল জয়বর্ধনে, রেহমান চিশতি ও শৈলেশ বড়া। তারা সবাই তেরেসা মে’র প্রথম সারির মন্ত্রী ছিলেন।