মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ : দূর্যোগে হাজার হাজার শরণার্থী

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

মেসিডোনিয়ার গ্রীস সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মেসিডোনিয়ার সরকার। গত তিন দিনে এ পথে আর কোন অভিবাসী সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেননি।

ফলে এই সীমান্ত এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার অভিবাসী। মেসিডোনিয়া হয়ে তারা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে যেতে চায়। কিন্তু ঘোষণা অনুযায়ী মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিলে বলকান রাষ্ট্রগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আর পৌঁছাতে পারবে না।

বলকান রাষ্ট্রগুলো হলো- আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, কসোভো, মেসিডোনিয়া, মন্টিনেগ্রো, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া। এ ছাড়া গ্রিস ও তুরস্ককে অনেকে বলকান রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের বলকান রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছাতে তুরস্ক হয়ে গ্রিস এবং গ্রিস হয়ে মেসিডোনিয়ায় ঢুকতে হচ্ছে। তারপর তারা পছন্দের গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তু মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিলে অভিবাসীদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে অথবা নতুন পথের সন্ধান করতে হবে।

মেসিডোনিয়ার গ্রীস সীমান্তে পলিথিনে জড়িয়ে সন্তানকে বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা এক শরণার্থীর

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বর্তমানে অভিবাসীদের নিয়ে চরম বিপাকে আছে ইউরোপ। এ নিয়ে কয়েক দফা গ্রিস ও তুরস্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংকট সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, তুরস্কের সঙ্গে ইইউর যে চুক্তি হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। এরইমধ্যে মেসিডোনিয়া ঘোষণা দিল, তারা সীমান্ত বন্ধ করে দেবে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, ইউরোপে ঢোকার জন্য অভিবাসীদের কোন পথ থাকবে না। ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীর দিন শেষ। কিন্তু জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ শীর্ষ স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে।


Spread the love

Leave a Reply