‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বহাল রাখার দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম। পরে বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা হলে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যদি সরকার গঠিত হতে পারে, তবে কেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে না?

১৯৮৮ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর সংবিধানে এই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট দায়ের করা হয়। এ রিট দায়েরের  ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন একটি সম্পূরক আবেদেনে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিয়োগ দেন। ওই রুলের বিষয়ে শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।

আর এ বিষয়টিকেই ‘ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে হেফাজত। তারা বলছে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখার দাবিতে প্রয়োজন হলে আবারো রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশ করা হবে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম। হেফজাত ছাড়াও ইসলামী শাসনতন্ত্র ও চরমোনাই নেতাকর্মীরাও একই দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আব্দুর রকিব, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামেদি, ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর হেফাজত ইসলামের আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আওয়ামী লীগকে জালিম সরকার উল্লেখ করে বলেন, অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। রক্ত দেব, কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। আদালত বুঝি না, নির্বাহী আদেশ কী বুঝি না, ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম ছিল, থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জমিয়ত ওলামা ইসলামের সহ-সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হচ্ছে না। এটা দুঃখ জনক। আমরা জানি দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সরকার দলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা সবাই তো মুসলমান। তবুও কেন রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে এতো ষড়যন্ত্র?

তিনি বলেন, আমাদের হেফাজতের মূল নেতা আল্লামা শফি সাহেব অপর মাওলানা ও ইসলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও দাবি করেন তিনি।

একই দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজত।


Spread the love

Leave a Reply