রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট কোথায় লিখেছিলেন শেক্সপিয়ার?
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃবিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের সবচেয়ে বড় কবি ও নাট্যকারদের একজন গণ্য করা হয় উইলিয়াম শেক্সপিয়ারকে। ইংরেজ এই নাট্যকার এলিজাবেথ যুগে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন লন্ডনের নাট্যশালাগুলোতে। ১৫ শতকের ওই সময়টাকে ইংরেজি নাটকের রেনেসাঁর সময়ও বলা হয়ে থাকে। শেক্সপিয়ারের জীবন নিয়েও তাই সারা পৃথিবীর নাটক ও সাহিত্যপ্রেমীদের আগ্রহ অনেক। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক প্রশ্নেরই কূলকিনারা করতে পারেননি গবেষকেরা। এর একটি যেমন, লন্ডনের ঠিক কোন বাড়িটিতে বসে শেক্সপিয়ার তাঁর কালজয়ী সাহিত্যকর্মগুলো লিখেছিলেন, সেটি এত দিন নিশ্চিত ছিলেন না গবেষকেরা। এবার জিওফ্রে মার্শ নামের এক প্রসিদ্ধ থিয়েটার ইতিহাসবেত্তা খুঁজে শনাক্ত করেছেন সেই বাড়ি। মার্শ ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়ামের নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক। এক দশকের বেশি সময় ধরে এ বিষয়ে গবেষণার সিদ্ধান্ত সম্প্রতি হাজির করেছেন তিনি।
এত দিন মনে করা হতো, ১৫ শতকের শেষ দশকে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, আ মিডসামার নাইটস ড্রিম-এর মতো কালজয়ী নাটক ইস্ট লন্ডনের একটি বাড়িতে বসে লিখেছিলেন শেক্সপিয়ার। যেখানে এখন লিভারপুল স্ট্রিট স্টেশন অবস্থিত। গবেষক মার্শ তথ্যপ্রমাণ হাজির করে বলেছেন, এটি সঠিক তথ্য নয়। আসল বাড়িটি সেন্ট হেলেন গির্জার সমাধিস্থলের কাছে অবস্থিত। এখন এলাকাটি ৩৫ গ্রেট সেন্ট হেলেনস নামে পরিচিত লন্ডনের একটি অফিসপাড়া। লন্ডনের পরিচিত আকাশচুম্বী ভবন দ্য গেরকিনের খুব কাছেই এর অবস্থান।
এই বাড়িতে স্থানান্তরের আগে শেক্সত পণ্যের শীর্ষ কোম্পানি লেদারসেলারসের মালিকানাধীন বাড়ি ছিল সেটি। ওই এলাকায় সে সময়ের তাবৎ প্রভাবশালী লোক বসবাস করতেন।
১৫৯৭-৯৮ সালে লন্ডনের সর্বোচ্চ করদাতার তালিকায় নাম ওঠে শেক্সপিয়ারের। মার্শ বলেন, শেক্সপিয়ারের লন্ডনের বাড়িটি খুঁজে পাওয়ার ফলে শেক্সপিয়ারের নাটকে ওই পরিবেশের প্রভাব এখন ভালোভাবে বোঝা সম্ভব হবে।