শহীদুল আলমের মুক্তি দাবি ১১ নোবেলজয়ী ও ১৭ বিশিষ্ট ব্যক্তির

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃখ্যাতনামা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম ও আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডেসমন্ড টুটু এবং তাওয়াক্কুল কারমানসহ ১১ জন নোবেলজয়ী। বিবৃতিতে বিশ্বের প্রভাবশালী আরও ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও সই করেছেন। তারা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে সই করা ১১ নোবেল বিজয়ীর মধ্যে ১০ জনই শান্তিতে পদক পেয়েছেন। বিবৃতিদাতা নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন শিরিন এবাদি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ডেসমন্ড টুটু, তাওয়াক্কুল কারমান, বেটি উইলিয়ামস, অস্কার এরিয়াস, জোডি উইলিয়ামস। এছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন নওরয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেম ব্রান্টল্যান্ড, অভিনেত্রী ও অ্যাকটিভিস্ট শাবানা আজমি, হলিউড তারকা শ্যারন স্টোন, চলচ্চিত্র পরিচালক রিচার্ড কার্টিস, মানবাধিকার কর্মী কেরি কেনেডি, মানবাধিকার কর্মী এবং মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদের বড় মেয়ে মেরিনা মাহাথির।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. শহিদুল আলমকে বিতর্কিত আইসিটি অ্যাক্টের আওতায় যে পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমরা যৌথভাবে আওয়াজ তুলেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন বেআইনি গ্রেপ্তারের অভিযোগ তদন্ত করে দেখে এবং ড. শহিদুল আলমকে অবিলম্বে এবং নি:শর্তে মুক্তি দেয়।
তারা সরকারের প্রতি বিক্ষোভের পর গ্রেফতার হওয়া সব শিক্ষার্থীকে মুক্তিরও দাবি জানান।
এ নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে অনেক বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তরুণ আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতেই আক্রমণ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফার যারা এই বিক্ষোভের খবর প্রকাশে পেশাগত দায়িত্বে মাঠে নেমেছিলেন তাদের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। গণমাধ্যমের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, স্কুল শিক্ষার্থীদের দাবির সমর্থনে কয়েকদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলে তাদেরকেও বিভিন্ন মামলার অধীনে গ্রেফতার করা হয়।
৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার ড. শহিদুল আলমকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিবৃতিতে শহিদুল আলমকে বাংলাদেশের জার্নালিস্টিক ফটোগ্রাফি আন্দোলনের নেতা সেইসঙ্গে একজন একাডেমিক ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।


Spread the love

Leave a Reply