সাকিবকে হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালে বরিশাল

Spread the love

sabbir-sahriarবাংলা সংলাপ ডেস্ক
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লেন্ডল সিমন্সের ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসেও শেষ রক্ষা হলনা। সাব্বির-নাফিসের দিনে রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লার সঙ্গী হলো বরিশাল বুলস। ৪৯ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে গেইলের অভাব ভুলিয়ে দেওয়া এক ইনিংসে বরিশালকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন সাব্বির রহমান।

রান খড়ার বিপিএলে ১৬১ রানের লক্ষ্যটাকে রীতিমতো বিশালই বলতে হয়। তার উপর বরিশালের প্রধান ব্যাটিংস্তম্ভ ক্রিস গেইল দলে নেই। তাই আজকের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচটাকে মনে হচ্ছিল অসম লড়াই। তারকায় ভরপুর রংপুরের সামনে বরিশাল কতটা দূর্বল দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই তা স্পষ্ট। তবে ওই পর্যন্তই। এর পর থেকে কখনোই মনে হয়নি ম্যাচটা হারতে পারে বরিশাল। কারন স্বরুপে ফিরেছেন সাব্বির, আর ফিরেছেন ঠিক সময়টাতেই। সাব্বির-নাফিসের এক একটা চার ছয়ের সাথে সাথে স্ক্রীনে ভেসে উঠছিলো সাকিব আল হাসানের হতাশা আর বিষ্ময়ভরা মুখটা। ঠিক যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬০ রান করে রংপুর। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।

প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লেন্ডল সিমন্সের ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৬০ রান জমা করেছিল রংপুর রাইডার্স। লেন্ডল সিমন্সের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলা রাসেল আল মামুন। সিমন্স-রাসেলের ৫২ রানের জুটি রংপুর ভালো সূচনা এনে দেয়। শেষ দিকে ১০ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ড্যারেন স্যামি।

৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল বরিশাল। ১০ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছিল দুটি উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার রনি তালুকদারকে আউট করেছিলেন আরাফাত সানি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার সেকুগে প্রসানাও সাজঘরে ফিরেছেন সাকিবের শিকার হয়ে। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান সাব্বির ও শাহরিয়ার নাফিস। তৃতীয় উইকেটে ১২৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ১৭ ও ১৮তম ওভারে নাফিস ও সাব্বিরের বিদায়ের পর আবার চাপের মুখে পড়ে যায় বরিশাল। ৪০ বলে ৪৪ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রানআউট হয়েছেন নাফিস। সাব্বির খেলেছেন ৪৯ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ১৯তম ওভারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও সাজঘরে ফেরার পর চাপ খানিকটা বাড়লেও শেষপর্যন্ত জয় তুলে নিতে সমস্যা হয়নি বরিশালের। কেভিন কুপারের ১০ ও রায়াদ এমরিটের ৭ রানের সুবাদে এক বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬১ রান সংগ্রহ করে ফেলে বরিশাল।

১৫ ডিসেম্বর বিপিএলের তৃতীয় আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহর বরিশাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।


Spread the love

Leave a Reply