সাকিবের রংপুর রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ সিলেট সুপারস্টার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের তৃতীয় আসরে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স।
সিলেটের দেয়া ৬০ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ রানের মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্স (৫) ও সৌম্য সরকারের (১১) উইকেট হারায় রংপুর। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক সাকিব ও জহুরুল ইসলামের ৩৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হয়নি তাদের। ২৪ বলে ৪ চারের সাহায্যে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জহুরুল।
এর আগে রংপুর রাইডার্সের স্পিনারদের দাপটে মাত্র ৫৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট সুপারস্টার্স। যা বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের ‘বিব্রতকর’ রেকর্ডও। ৬০ রানের মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৬১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান রংপুর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঠিক জবাবও দেন আরাফাত সানী। নিজের টানা চার ওভারে চার উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। মাঝে অধিনায়ক সাকিবও একই ওভারে নেন দুই উইকেট। আর সিলেট পড়ে যায় চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে।
আরাফাত সানী শুরুটা করেছিলেন দিলশান মুনাবীরাকে দিয়ে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই এই লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন সানী। এই স্পিনার নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীকেও সাজঘরের পথ দেখান। জুনায়েদকে (৫) নিজের ফিরতি ক্যাচে পরিণত করেন।
এরপর তৃতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিমকে। সানীর মিডল স্টাম্পের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে মুক্তার আলীর হাতে ধরা পড়েন মুশফিক (৮)।
সানীর পর শুরু সাকিব-ঘূর্ণি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে চার বলের ব্যবধানে নুরুল হাসান ও শহীদ আফ্রিদির উইকেট তুলে নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন নুরুল (৮)। সিলেট অধিনায়ক আফ্রিদিকে (৪) স্টাম্পিং করেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন।
সানী নিজের চতুর্থ ওভারে এসে নাজমুল হাসান মিলনকে বিদায় করলে ৩০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। আর ২৯ রানের মধ্যে বাকি চার উইকেট হারালে ৫৯ রানেই অলআউট হয়ে বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ে আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটি।
সোহেল তানভীর (২০) ছাড়া সিলেটের আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি!
শেষ চার উইকেটের তিনটিই নেন রংপুরের আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী। অপরটি জমা পড়ে থিসারা পেরেরার ঝুলিতে।
আরাফাত সানী ৪ ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন। সাকিব ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ২৫ রান। নবী ২.৫ ওভারে ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। আর পেরেরা এক ওভারে ৪ রানে ১ উইকেট দখল করেন।