‘স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যে বন্দি হয়ে থাকতে পারে না’-নিকোলা স্টারজেন
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ‘স্কটল্যান্ড তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের মধ্যেই বন্দি হয়ে থাকতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি) নেতা নিকোলা স্টারজেন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় একটি গণভোট অনুষ্ঠানের ক্ষমতা তাকে মঞ্জুর করতে জনসন যে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন, তাতে স্কটিশদের স্বাধীনতার জন্য সমর্থনই কেবল বাড়ছে।
যুক্তরাজ্যে সদ্য হয়ে যাওয়া সাধারণ নিরবাচনে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এসএনপি) সাফল্য স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে নতুন করে গণভোট করারই জনাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন স্টারজেন।
বিবিসি’র এন্ড্রু মার শো’তে তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য অখন্ডভাবে একটি ইউনিয়ন হিসাবে থাকতে চাইলে সেটি কেবল সম্মতির ভিত্তিতেই হতে পারে।”
“যুক্তরাজ্য সরকার যদি মনে করে থাকে গণভোটকে না বলে দিলেই বিষয়টি এখানে থেমে যাবে তাহলে ভুল করবে। কারণ, এটি গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয়।আপনারা স্কটল্যান্ডকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ভেতর আটকে রাখতে পারেন না।”
যুক্তরাজ্যে গত বৃহস্পতিবারের ভোটে স্কটল্যন্ডে ভাল ফল করেছে এসএনপি। গোটা যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী জনসনের দল যত না ভোট পেয়েছে সে হিসাবে স্কটল্যান্ডে এসএনপি সেখানকার ভোটারদের ভোট পেয়েছে বেশি।
এসএনপি নেতা স্টারজেন বলেন, “স্কটিশ ভোটাররা টোরিদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্রেক্সিটকে না বলেছে। তাতে এটা পরিস্কার যে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই নিতে চাই। তবে যারা এসএনপি-কে ভোট দিয়েছেন তারা সবাই যে স্বাধীনতাকে সমর্থন করবেন তা আমি মনে করি না। কিন্তু এ প্রশ্নের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ না, বরিস জনসনও সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এটি স্কটল্যান্ডের জনগণের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।”
জনসন যুক্তরাজ্যের অখন্ডতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকলে স্কটল্যান্ডের ব্যাপারে স্কটিশদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্টারজেন।
তবে স্টারজেনের দাবির বিরোধিতা করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা। ঊর্ধ্বতন ক্যাবিনেট মন্ত্রী মাইকেল গভ বলেছেন, স্কটিশদের ২০১৪ সালের গণভোটের ফলকে শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।
২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ড স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠান করেছিল। স্বাধীনতার বিপক্ষে পড়েছিল ৫৫ শতাংশ এবং পক্ষে পড়েছিল ৪৪ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, খুব কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল ‘না’ ভোট।