হিলারির দলীয় মনোনয়ন নিয়েই সংশয়

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতমধ্যে রিপাবলিকানদের হয়ে দলীয় মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূল লড়াইয়ে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দী হিসেবে সর্বত্রই আলোচনায় আসছে ডেমোক্রেটিক দলীয় হিলারি ক্লিনটনের নাম। যদিও অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, প্রসিডেন্ট পদে লড়াই দূরে থাক, হিলারির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রয়ে গেছে বড় সংশয়!

সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে শুধু ট্রাম্পের সঙ্গে নয়, দলীয় প্রতিদ্বন্দী বার্নি স্যান্ডারসের সাথেও জনপ্রিয়তার তুলনায় পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি ৭জুন ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইমারিতে বার্নি স্যান্ডার জিতে যান, কয়েকশ ডেলিগেট পেয়ে যাবেন। আর এতে করে মনোনয়নের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন হিলারি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে অন্য যে কোনও সময়ের তুলনায় হিলারি ক্লিনটনের ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থীতার লড়াইয়ে বার্নি স্যান্ডারসের কাছে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া আইনি ঝামেলাতেও পড়তে পারেন তিনি। এ অবস্থায় ডেমোক্রেটিক দলের কনভেনশনে নতুন প্রার্থী হাজির করার বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচিত হচ্ছে।

সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা যায়, স্যান্ডারসের চেয়ে মাত্র দুই শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন হিলারি। একই অবস্থা ফক্স নিউজের পরিচালিত জরিপেও। এমনকি খুব কম ব্যবধানেও যদি স্যান্ডার্স জয়ী হন তাহলেও তিনি ২৫০ ডেলিগেটস বা তার বেশি পেতে পারেন। এটা স্যান্ডারসকে অনেক এগিয়ে দেবে।

ক্যালিফোর্নিয়া পরিষ্কারভাবেই স্যান্ডারসের দিকে ঝুঁকছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ ডেমোক্রেটিক ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। ২০১২ সালের তুলনায় ভোটার নিবন্ধনের হার ২১৮ শতাংশ বেশি। নতুন ভোটের বেশির ভাগই স্যান্ডারসের পক্ষে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে হিলারি ক্লিনটনকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টাও কমে আসছে। সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, হিলারি প্রায় ট্রাম্পের সমান অবস্থানে রয়েছেন। এবিসি নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্ট ও ফক্স নিউজের জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ২-৩ পয়েন্ট পিছিয়ে আছেন হিলারি।

এছাড়াও, আইনি ঝামেলায়ও পড়তে পারেন হিলারি। সম্প্রতি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় কাজে নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করে আইন ভঙ্গ করেছেন।

মিসেস ক্লিনটনের আইনি ঝামেলা ও পরাজয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে কনভেনশনে নতুন প্রার্থীর কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য নতুন প্রার্থীর তালিকায় আছেন ২০০৪ সালে মনোনয়নপ্রত্যাশী জন কেরি। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন।


Spread the love

Leave a Reply