‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট হবে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার’

Spread the love

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত -ফাইল ফটো
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত -ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের এ মেয়াদের শেষ অর্থবছরে (২০১৮-১৯ সালে) ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে উন্নত দেশ গড়তে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনি আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ২০তম দিনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সরকারি দলের হাবিবুর রহমান, বেগম মাহজাবিন খালেদ, বেগম আক্তার জাহান, বেগম রোখসান ইয়াসমিন ছুটি, মোহা. গোলাম রাব্বানী, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান ও বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।

গত ২০ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। গত ২৪ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে হুইপ ইকবালুর রহিম তা সমর্থন করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, দেশের অর্থনীতির একটি শক্ত অবস্থান হলো বৈদেশিক রেমিট্যান্স। এই রেমিট্যান্সকে আরও অনেক বেশি বাড়াতে পারব, যখন স্কিল ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রামটি কার্যকর হবে। এই প্রোগ্রামের জন্য এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এজন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে এই উদ্যোগটি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই দিকটিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এটাতেই রয়েছে আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন। স্কিল ইমপ্রুভমেন্ট না করলে যেসব সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখছি সেটা পূরণ হবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সকলের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। পাকিস্তানের অত্যাচার এবং বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের ফলে তখন দেশের দারিদ্র্য ছিল ৭০ শতাংশ এখন তা ২৪ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সরকারের এই মেয়াদের শেষে দারিদ্র্যসীমা ১০ শতাংশে নেমে আসবে।

তিনি বলেন, এক সময় এই দারিদ্র্য থাকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। দেশের মোট জাতীয় আয় ২১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানি আয় ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রপ্তানি ব্যয় ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া দেশের নারী-পুরুষের ব্যবধান অনেকাংশে কমে গেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর প্রকৃত পক্ষে একটি পূর্ণাঙ্গ সমূদ্র বন্দর। এই সমূদ্র বন্দর নির্মাণে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। যমুনা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এসব প্রকল্প নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বাজেট ঘোষণা করা হবে। এজন্য বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন হবে। দেশের বর্তমান বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৩৭ বিলিয়ন ডলার।


Spread the love

Leave a Reply