পারবে কি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এড়াতে এই দায়ভার?

Spread the love

বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার ৫০তম পূর্তি উৎযাপন করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দৌড়াচ্ছে। অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে দেশে।হয়েছে অনেক উঁচু উঁচু দালান, অট্রালিকা, হয়েছে সুরম্য প্রাসাদ, গড়ে উঠেছে হোটেল, মোটেল; সাথে যোগ হয়েছে ব্রিজ ও ওভার ব্রিজ। উন্নয়ন সূচক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কোনো একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়ন নির্ভর করছে ওই দেশের বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সেবার মানের উপর।অথচ বাংলাদেশ এই তিনটি ক্ষেত্রেই চরমভাবে অবহেলিত, এই তিনটি ক্ষেত্রের অবস্থাই তলানিতে। শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে গেছে, নেই কোনো গুনগতমানের শিক্ষা, রিসার্চ বা গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আমরা বার বার দেখেছি জিপিএ ৫ পেয়েও ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা-ইংরেজিতে ফেল করছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ রাঙ্কিংয়ের ১০০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। যা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার অসারতা।চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবার কথা নাই বললাম।

অট্টালিকা, দালান-কোঠা আর ব্রিজ-কালভার্ট দিয়ে কোনো দেশের উন্নয়ন বিচার করা হয় না বরং দেশের প্রকৃত উন্নয় নির্ভর করে ওই দেশে কি পরিমান মিল-ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে, কি পরিমান দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, কি পরিমান রপ্তানি বেড়েছে আর আমদানি কমেছে, কি পরিমান আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কি পরিমাণ প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে কিনা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ কতদূর এগুলো, মানুষের মৌলমানবীয় জীবনযাত্রার মান বেড়েছে কিনা এইসব বিষয়গুলোর উপর।সাম্য ও সামাজিক ন্যাবিচারের স্লোগান দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও আজও পর্যন্ত সামাজিক ন্যায়বিচার রয়ে গেছে অধরাই।

অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশের মেধাবী ছাত্ররা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সেশন জটকে অতিক্রম করে পরিসমাপ্তি করে তাদের স্নাতক।তারপরই তাদেরকে এক কঠিন বাস্তবতার মধ্যে পড়তে হয়। কোনো এক সিনিয়র আইনজীবীর কাছ থেকে ইন্টিমেশন জমা দিয়ে প্রহর গুনতে থাকে কবে হবে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষা, কবে নিজেকে এডভোকেট বলতে পারবে, তার অপেক্ষা।শুরু করে কোনো এক সিনিয়র আইনজীবীর সাথে কোর্টে আসা যাওয়া, চেম্বার ওয়ার্ক ইত্যাদি। দিন শেষে বা মাস শেষে সিনয়র খুবই খুবই সামান্য কয়টা টাকা দেয় যা দিয়ে নিজের জীবন যাপন করাই মুশকিল হয়ে পড়ে। অনেক জুনিয়র আইনজীবী বা শিক্ষানবীশ আইনজীবী দুপুরে না খেয়ে, বা বড়জোড় এক কাপ চা আর একটা সিঙ্গারা দিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে, পারেনা অসহায় পিতা-মাতার ঔষধের যোগান দিতে, না পারে স্ত্রীর আবদার মিটাতে, না পারে সন্তানের স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে, অথচ সমাজ ইতিমধ্যে তাকে আইনজীবী বলতে শুরু করেছে কারণ তাকে প্রতিদিন কালো কোট পড়ে কোর্টে যেতে হয়; যেতে হয় সিনিয়রের হুকুম তামিল করতে। যে স্বপ্ন নিয়ে তরুণ ভর্তি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে, যে স্বপ্ন পিতা-মাতা দেখেছিলেন-ছেলে আমার হবে মস্তবড় আইনজীবী, যে স্বপ্ন ছিল নিজের, পরিবারের ও সমাজের উন্নতি করার; সহসাই সেই স্বপ্ন ম্লান হয়ে যেতে শুরু করে। আজকে প্রায়শ দেখা যায় আইন বিষয়ে স্নাতক পাশ করেও বার কাউন্সিলের ক্রমাগত ব্যর্থতা, উদাসীনতা, ও সময়মতো পরীক্ষা না হওয়ার কারণে আইনপেশার প্রতি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের চরম উদাসীনতা, অবজ্ঞা ও আস্থাহীনতা। এর ফলশ্রুতিতে আইনপেশার পরিবর্তে তারা বেছে নিচ্ছে ব্যাংকসহ অন্যান্য পেশা।আবার অনেক সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীরা চলে যায় দেশের বাইরে, ফলশ্রুতিতে ক্রমান্বয়য়েই মেধাশূন্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ, অথচ তারা হতে পারত দেশের blue blood.

জুনিয়রের প্রতি সিনিয়রের দৌরাত্ম্য আর অন্যায্য আচরণের (white colour crime) কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও সাধারনত তাঁদের কারনে জুনিয়র বা শিক্ষানবীশদের মধ্যে হতাশা, ডিপ্রেশন, মনমরাভাব, কর্মক্ষমতা লোপ, প্রেসার বৃদ্ধিসহ নানা ব্যাধি বাসা বাঁধতে থাকে অল্প বয়সেই, এমনকি কখনও দেখা যায় এগুলো সইতে না পেরে জুনিয়র আইনজীবী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।এক্ষেত্রে দরকার সিনিয়রের সহানুভূতি আর বার কাউন্সিলের দায়িত্বশীল আচরণ। বার কাউন্সিল একটি নীতিমালা করে শিক্ষানবীশ বা জুনিয়র আইনজীবীদের জন্য নূন্যতম একটি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দিতে পারে। দরকার বর্তমান সিস্টেমের পরিবর্তন, দরকার প্রধামন্ত্রীর সুদৃষ্টি, দরকার কার্যকরী ও সময়পোযোগী পদক্ষেপ।

একদিকে যেমন সম্ভাবনাময়ী শিক্ষানবীশ আইনজীবী আইনপেশা ছেড়ে দিচ্ছে, শুরু করছে অন্য পেশা, ফলে বেড়ে উঠছে আদালত প্রাঙ্গনে অনেক টাউট, বাটপার, দালাল ও ভুয়া আইনজীবী চক্র, তেমনি কমে যাচ্ছে প্রকৃত, ও সত্যিকারের আইনজীবী। এই অবস্থা চলতে থাকলে এক পর্যায়ে দেশে ভালো, দক্ষ, গুণী আইনজীবীর রীতিমত ক্রাইসিস দেখা দিবে।

এইতো কিছুদিন আগে গত ৩রা অক্টোবর ২০২০, সোসাইটি অফ বাংলাদেশী লইয়ার্স(এসবিএল) কর্তৃক “দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, বাংলাদেশে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞতা (Access to Justice: Case Backlog Bangladesh Perspective: Sharing UK Experience)” শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক (ভার্চুয়াল) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো: রেজাউল হাসান। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করেন বিচারকের স্বল্পতা ও কোর্ট রুমের অপর্যাপ্ততাকে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে এই মুহূর্তে প্রায় তিন মিলিয়ন মামলা পেন্ডিং রয়েছে। মামলার এই জট ছাড়াতে দরকার আরো বেশী বিচারক নিয়োগ দেওয়া।কিন্তু কথা হলো যদি আইনজীবীই তৈরী না হয়, তাহলে বিচারক তৈরী হবে কি করে? এই অবস্থা চলতে থাকলে এক পর্যায়ে বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়বে।তাই দরকার এখনই পদক্ষেপ নেয়ার, দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির উর্ধ্বে এসে বিচারব্যবস্থাকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলসহ, দেশের কর্তাব্যক্তিদের এবং সিনিয়র আইনজীবীদেরকে রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি পরিহার করে একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা, প্রচলিত আইনের সংশোধনসহ সময়পোযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।

এবার আসি আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়ে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order 1972 এর মাধ্যমে গঠিত ও পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশী নাগরিকদের আইনপেশায় অন্তর্ভুক্তিকরণ ও নিবন্ধনসহ আইনপেশার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি বছর দুইবার আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষা নেয়ার বিধান থাকলেও, দুৰ্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে- তারা প্রতি বছর একটি পরীক্ষার আয়োজনও করতে পারেনা, এমন কি গত তিন বছরেও একটি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারেনি। সর্বশেষ আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৭ সালে। এরপর ২০১৯ সালে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হলেও লিখিত পরীক্ষা নিতে পারেনি এই প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা মিছিল-মিটিং, সভা সমাবেশ করেছে, বার কাউন্সিলকে পরীক্ষা সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছে বার বার। অবশেষে বার কাউন্সিল কোভিড-১৯ এর সমস্ত বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করে ১৯শে ডিসেম্বর ২০২০ এ।লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্রস্থলে শুরু হয় দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চেয়ার-টেবিলে ভাঙচুর, মারামারি, হাতাহাতি, ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের।ফলে পরীক্ষা স্থগিত হয়, শিক্ষানবীশ পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা রেখে নিজের জীবন বাঁচাতে বাসার দিকে রওনা দেন, পথিমধ্যে জানতে পারে পরীক্ষা আবার শুরু হয়েছে, পরীক্ষা শুরু হয় ফের তিন ঘণ্টা পরে, চার ঘন্টার পরীক্ষা কোথাও কোথাও হলো দুই ঘন্টা বা তার চেয়েও কম সময়ে। এ যেন এক লেজে গোবরে অবস্থা, এক আজব ভানুমতীর খেল। বার কাউন্সিলের মতো এমন এক প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠানের এই করুণ অবস্থা যেন আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় ১৯৭২ সালের মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার কথা।আইনজীবীদের সময় বাঁচাতে, তাদের জীবন-যৌবনের মূল্যবান সময় গুলোকে রক্ষা করতে, দেশে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করতে পরিবর্তন দরকার, দরকার বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিমুক্ত রাখা, দরকার বার কাউন্সিলের দায়িত্বশীল ও পেশাদারিত্ব সুলভ আচরণের।

আমরা কথায় কথায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করি, আর নানাবিধ গালমন্দ করে থাকি পাকিস্তানকে। সেই পাকিস্তানের মতো দেশও তাদের বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন রাখতে সক্ষম হয়েছে, আজ পর্যন্ত রেখেছে দলমত নির্বিশেষে সবার উপরে।পাকিস্তান বার কাউন্সিল Legal Education Committee এর মাধ্যমে Admission as an Advocate পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তাদের পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয় ত্রৈমাসিক (Quarterly)। তবে কোনো শিক্ষানবীশ আইনজীবী পরীক্ষার্থীই চার বারের বেশি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না এবং শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে রেজিস্ট্রেশন করার সময় থেকে আড়াই বছরের মধ্যে তার আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষা শেষ ও পাশ করতে হবে।এর অর্থ হলো একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী যদি তিনবার Admission as an Advocate পরীক্ষায় ফেলও করে, তারপরেও চতুর্থবার পরীক্ষা দিয়ে সর্বোচ্চ আড়াই বছরের মধ্যেই আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে আমাদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তিন বছরেও একটি পরীক্ষা নিতে ও শেষ করতে পারে না।

এবার আসি পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ার কথায়। Bar Council of India আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি বা এডভোকেটকে প্রাকটিস সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বছরে দুইবার All India Bar Examination (AIBE) এর আয়োজন করে থাকে। প্রতি বছরে দুইবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে তাদেরও। গত ৮ই নভেম্বর AIBE XV পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা-১৯ কারণে তারা পরীক্ষা পিছিয়ে ২৪শে জানুয়ারী ২০২১ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একটু পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে AIBE XIV পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৯, AIBE XIII পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৩শে ডিসেম্বর ২০১৮, AIBE XII পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১০ই জুন ২০১৮। পরিসংখ্যানে দেখা যায় ইন্ডিয়া বছরে ঠিক ঠিকই দুইবার পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তারাও তাদের বিচার ব্যবস্থাকে অনেকটাই স্বাধীন রেখেছে, রেখেছে রাজনীতি ও সরকারের লেজুড়বৃত্তি মুক্ত।আর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল গত ২০১৭ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত একটি পরীক্ষার সফল সমাপ্তি করতে পারেনি।

২০১৭ বা ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের যে তরুণটি আইন বিষয়ে স্নাতক পাশ করেছে, সে ইতিমধ্যে সেই দেশের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, হয়তোবা সে দেশের আইনজীবী হিসেবে খুব সুন্দর ভাবে আইনপেশা পরিচালনা করছে।অন্যদিকে সমসাময়িক কালে স্নাতক পাশ করা আমার দেশের সেই হতভাগা তরুণটি এখনও পর্যন্ত আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষার বৈতরণী পার হতে পারে নি। এই ব্যর্থতার ও অবস্থাপনার দায়ভার কে নিবে? বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কি পারবে তার ব্যর্থতার দায় এড়াতে?

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কর্যকরের জন্য যেমন যোগ্য ও পর্যাপ্ত বিচারকের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি বিচারক তৈরির জন্য যোগ্য আইনজীবী তৈরিরও কোন বিকল্প নেই।আর আইনজীবী তৈরির জন্য যথাসময়ে অন্তত বছরে একবার হলেও আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাথে সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবী, প্রধান বিচারপতি ও সরকারের সুদৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে বার কাউন্সিলের অব্যবস্থাপনা দূর করতে, ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে উদ্ভুদ্ধ করতে।

লেখক: ব্যারিস্টার ওয়াহিদ মুহাম্মদ মাহবুব, সলিসিটর অব ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস


Spread the love

Leave a Reply