ব্রিটেনে বাংলাদেশের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা

Spread the love

বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় এই বাসভূমিতে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নয় মাস ব্যাপী এক বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুবরাজ চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশেষ বাণীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মি. জনসন ব্রিটেনের আর্থ-সামাজিক খাতে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ছয় লক্ষ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী দু’দেশের মধ্যে বন্ধনকে জিইয়ে রেখেছে।”

করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগ এনএইচএস-এ কর্মরত নার্স এবং ডাক্তারদের তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো সংসদীয় এলাকার নির্বাচিত এমপি রুশনারা আলীও টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছেন “তাদের কাছে আমরা বিপুলভাবে ঋণী।”

“বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যেসব ব্রিটিশ বাংলাদেশী লড়াই করেছেন, আমাদের পূর্ব প্রজন্মসহ, আমরা তাদের নিয়ে খুবই গর্ব অনুভব করি,” বলে মন্তব্য করেন রুশনারা আলী।

সূবর্ণ জয়ন্তীর সকালে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন টাওয়ার হ্যামলেটস-এর নির্বাহী মেয়র জন বিগস্ এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম।

টাওয়ার হ্যামলেটস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি বিরল সম্মান, যেখানে একজন নির্বাহী মেয়র কোন বিদেশি রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করছেন।

পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর দিনে।

২৬৫ দিনের উৎসব

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করতে টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে, সেটি চলবে ২৬৫ দিন ধরে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসের সংগ্রামকে সম্মান জানাতে এই সময়সীমাকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

এতে নানা ধরনের অনলাইন ইভেন্টের পাশাপাশি থাকছে ছবি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা।

এরই অংশ হিসেবে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় তৈরি করা হবে একটি বিশাল ভাস্কর্য।

ব্রিটেনের ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারির সহায়তায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মিলে বাঙালী শিল্পী রুহুল আবদিন এটি তৈরি করবেন।

সূবর্ণ জয়ন্তীর সন্ধ্যায় লন্ডনের একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান ‘লন্ডন আই’কে বাংলাদেশের পতাকার রঙের আলো দিয়ে সাজানো হয়।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনটিও সাজানো হয় আলোকমালায়।

এছাড়াও পুরো ব্রিটেন জুড়ে বাংলাদেশীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রিন্স চার্লসের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ভিডিও বার্তায় বিশ্বের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিন্স অফ ওয়েলস প্রিন্স চার্লস। একই সঙ্গে করোনার কারণে বাংলাদেশে আসতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। বৃটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে তিনি ১৯৯০ সাল থেকে ৫ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে তুলে আনার প্রশংসা করেছেন। বলেছেন বাংলাদেশে বেড়েছে গড় আয়ুষ্কাল। কমেছে শিশুমৃত্যুর হার। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম বাংলাদেশ। জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে সন্ত্রাস মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।


Spread the love

Leave a Reply