যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য চুক্তিই সর্বোত্তম উপায়: অর্থমন্ত্রী
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তিই যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখা ও বিভক্ত দেশকে সংযুক্ত করার সবচেয়ে ভাল উপায় বলে মনে করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামোন্ড।
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, এই চুক্তি ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার উপায়। এতে আমাদের অর্থনীতির জন্য সর্বনিম্ন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রবিবার (২৫ নভেম্বর) ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা ব্রেক্সিট চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও জিব্রাল্টার ইস্যুতে স্পেন চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
সবকিছুর পরও যদি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, মে’কে নিজের দেশের পার্লামেন্টে তা অনুস্বাক্ষর করানো জন্য কঠিন লড়াই করতে হবে। কারণ মে’র নিজের কনজারভেটিভ পার্টির অনেক সদস্যই প্রকাশ্যে এই চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া মে’র জোট সরকারের অন্যতম মিত্র উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিও মে’র বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
তবে অর্থমন্ত্রী হ্যামোন্ড বলেন, একটি মাত্র বিষয় আমাদের অর্থনীতিকে এখন পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর তা হলো ইইউ’র সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা। তিনি বলেন, যদি আমরা কোনও চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করি তাহলে আমার কোনও সন্দেহ নেই যে, অর্থনীতির ওপর তার পরিণতি প্রকৃতপক্ষেই খুব মারাত্মক হবে। এটা কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে খুবই বিভক্তকারী ও নেতিবাচক হবে।
হ্যামোন্ড শুক্রবার ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতা আরলেন ফোস্টারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চুক্তির সাফাই দিয়ে বলেন, তা দেশের জন্য ভাল হবে। কারণ ২০১৬ সালের ইইউ গণভোটের সময়ই দেশে যে বিভক্তি ফুটে উঠেছে তা থেকে রক্ষার জন্য এর প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘গণভোটে পরিষ্কার সিদ্ধান্তের পরও ইইউ’তে থেকে যাওয়া হলে তা আমাদের রাজনীতির সম্পূর্ণ দুর্বলতা হিসেবে গণ্য হবে। এটা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ হেয় করবে আর অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে’। গণভোটের কারণে জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিভেদ দূর করার জন্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।