শামীমাকে গ্রহণ করা উচিত বাংলাদেশের

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃআইসিস বধু হিসেবে পরিচিত শামীমা বেগমের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃটেনের একজন সিনিয়র মুসলিম নেতা খলিফা মির্জা মাসরুর আহমদ। তিনি একই সঙ্গে শামীমা বেগমকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, খলিফা মির্জা মাসরুর আহমেদ বিশ্বজুড়ে আহমাদি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের মর্ডেন এলাকায় বাইতুল ফুতুহ মসজিদে ১৬তম বার্ষিক শান্তি সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।

মির্জা মাসরুর আহমেদ আরো বলেছেন, শামীমার বৃটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাই তাকে এখন যেকোনো মুসলিম দেশের গ্রহণ করা উচিত। শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য তিনি বৃটিশ সরকারকে দায়ী করেন না।

তার ভাষায়, শামীমা নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করেছেন। তাই একটি মুসলিম দেশের উচিত তার প্রতি সহানুভূতি দেখানো। যদি বৃটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে থাকে তাহলে আরেকটি দেশ, যেকোনো মুসলিম দেশের উচিত তাকে গ্রহণ করা।

মির্জা মাসরুর আহমেদ বলেন, যেহেতু শামীমার পিতামাতা বাংলাদেশী, তাই তাকে নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করার প্রথম দায় পড়ে বাংলাদেশের ওপর। এ সময় শামীমাকে তার ডাচ স্বামী ইয়গো রিয়েডিজক নেদারল্যান্ড নেয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা মেনে নিয়ে মির্জা মাসরুর আহমেদ বলেন এটাও একটি সম্ভাব্যতা হতে পারে। কোনো একজন মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা তখনই শুধু বৈধ হতে পারে যখন তার আরেকটি নাগরিকত্ব থাকে। ধারণা করা হয়, যেহেতু শামীমার পিতামাতা বাংলাদেশী, তাই তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশ তা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

উল্লেখ্য, নিউমোনিয়ায় গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে মারা গেছে শামীমার ৩ সপ্তাহ বয়সী শিশুছেলে জেরাহ। এরপর বৃটেনে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। কিন্তু বিরোধী লেবার দলের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়ানে অ্যাবোট তার এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, শামীমার ওই শিশুটির মৃত্যুর জন্য দায়ী বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


Spread the love

Leave a Reply