মসজিদ সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃনিউ জিল্যান্ডে শুক্রবারের সন্ত্রাসী হামলার পর মসজিদসহ বিভিন্ন প্রার্থনালয়ের সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্য। এজন্য মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার অতিরিক্ত ১৬ লাখ ইউরো বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে।
ঘৃণাবাদী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৬ সালে প্রার্থনালয় সুরক্ষা তহবিল গঠন করে যুক্তরাজ্য সরকার। এই তহবিল থেকে প্রার্থনালয়ের বাহ্যিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রার্থনালয়ে বেড়া, সিসিটিভিসহ নিরাপত্তা সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে অর্থ যোগানো হয়। এই তহবিলের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বরাদ্দ পায় মসজিদ। মঙ্গলবার বৃটিশ সরকারের যোষিত অতিরিকত্ত তহবিলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের আরও বেশি মসজিদ সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ডের ভয়াবহ ঘটনা আমাদের প্রার্থনার স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার ওপর সরাসরি আঘাত। অথচ এই স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা আমাদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছে। আমি জানি বহু মুসলমান সম্প্রদায় দুর্বল এবং উদ্বিগ্ন বোধ করছে। কিন্তু তারা আশ্বস্ত হতে পারেন এটা জেনে যে ঘৃণা এবং উগ্রপন্থা রোধে আমরা সবকিছুই করছি’। তিনি বলেন, নিজেদের বিশ্বাসের চর্চা করতে কারো ভীত হওয়া উচিত না। যারা ঘৃণা ছড়ায় আর আমাদের বিভক্ত করতে চায় তাদের বর্জন করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণে আমরা পরবর্তী বছরের প্রার্থণালয় সুরক্ষা তহবিলের পরিমাণ দ্বিগুণ করছি। এতে বাহ্যিক সুরক্ষার পাশাপাশি মনেও শান্তি আসবে’।
নতুন বরাদ্দের আগে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর তিন বছরে প্রার্থনালয় সুরক্ষা তহবিলে ২৪ লাখ ইউরো বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে উগ্র ডানপন্থীর হামলার পর নতুন করে ১৬ লাখ ইউরো বরাদ্দের ঘোষণা দিলো। এছাড়া নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের জন্য আরও ৫০ লাখ ইউরো বরাদ্দের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর।
নতুন সুরক্ষা প্রশিক্ষণ তহবিল থেকে প্রার্থনালয়গুলো তিন বছর ধরে সুবিধা পাবে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর বলেছে, সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। প্রশিক্ষণ তহবিলের আওতায় প্রার্থনালয় সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
যুক্তরাজ্য জুড়ে ঘৃণাবাদী অপরাধ বৃদ্ধির জেরে প্রার্থনালয় সুরক্ষা তহবিল গঠন করা হয়। গত বছর ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ধর্মীয় ঘৃণাবাদের ৫২ শতাংশেরই শিকার হয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়।