মরণবাঁচন ম্যাচে ভারতকে হারালো ইংল্যান্ড
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃজনি বেয়রস্টোর ১১১ আর বেন স্টোকসের ঝোড়ো ৭৯এর সাহায্যে ইংল্যান্ড প্রথমে বড় রানের লক্ষ্য খাড়া করে, তার পর বুদ্ধিদীপ্তবোলিং আর অব্যর্থ ফীল্ডিঙের জোরে ৩১ রানে হারিয়ে দেয় ভারতকে। আর সেইসঙ্গে বাঁচিয়ে রাখে নিজেদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা।শুরুতেই পরপর চারটে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে অনায়াসে পৌঁছে যাবে ভেবেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বসে তারা। সেমিফাইনালের পথ হঠাৎ করে দুরূহ হয়ে ওঠে।
গত চার বছর যে দলটা একদিনের ক্রিকেটে রাজত্ব করেছে, তারা গ্রুপ পর্যায়ে থেকে ছিটকে গেলে ইন্দ্রপতন হত বৈকি। সেটা আটকানোর একটাই উপায় খোলা ছিল ইংল্যান্ডের কাছে। তা হল পরের ম্যাচে ভারতকে হারানো। ঘরের মাঠ এজব্যাস্টনে প্রবল ভারতীয় সমর্থনের মাঝে ঠিক সেটাই করে দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। চোট পেয়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচ বাইরে কাটানোর পর আজ আবার মাঠে ফিরলেন জেসন রয়। প্রথম ওভারেই মহম্মদ শামিকে দু-দুটো বাউন্ডারি মেরে নিজের অভিপ্রায় জানিয়ে দেন তিনি। বেয়রস্টোও নিয়মিত সঙ্গীকে পাশে পেয়ে আরও স্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠেন। দুজনেই অবশ্য যথাসম্ভব কম ঝুঁকি নিয়ে শামি আর জসপ্রীত বুমরাহ্ র ওভারগুলো খেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু স্পিনাররা আসামাত্র দুজনেই হাত খুলে মারতে শুরু করেন। অবশেষে ৬৬ রান করে আউট হন রয়। বাউন্ডারি লাইনে অসাধারণ একটি ক্যাচ লোফেন পরিবর্ত ফীল্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। বেয়রস্টো অবশ্য নিজের মনোসংযোগ নষ্ট হতে দেননি। শতরান করার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বড় স্কোরের জন্য জমি তৈরি করে দেন তিনি। পঞ্চাশ ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় সাত উইকেটে ৩৩৭। মহম্মদ শামি ৬৯ রান দিয়ে আবারও সংগ্রহ করেন পাঁচ উইকেট। ভারত ব্যাট করতে নামতে না নামতেই জফ্ৰা আর্চরের বলে সেকেন্ড স্লিপে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। জো রুট ক্যাচ ধরতে না পারায় জোর বেঁচে যান তিনি। ক্রিস ওকস কেএল রাহুলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিলেও বিরাট কোহলি এবং রোহিত দ্রুত বাইশ গজে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেন।
লিয়ম প্লাঙ্কেট বল করতে এসে অবশেষে বিরাট-রোহিতের ব্যূহভেদ করেন। কোহলি ৬৬ রানে আউট হওয়ার পর রোহিত শর্মা এই বিশ্বকাপে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করে ফেলেন। ১০২ রানে যখন তিনি আউট হন, তখনও ভারতের ১৪০ রান দরকার।
ঋষভ পন্ত (৩২) বা হার্দিক পাণ্ড্য (৪৫) খারাপ খেলেন নি, কিন্তু ঠিক যখন তাঁরা গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখনই প্লাঙ্কেট তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ায় ৩৩৮ রান তাড়া করার কাজটা ক্রমশঃ কঠিন হয়ে ওঠে ভারতের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৩১ রান দূরে থেমে যায় তারা। ভারতকে হারিয়ে ইংল্যান্ড উঠে এল পয়েন্টতালিকায় চার নম্বর স্থানে।