তথ্য গোপন করে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে বিচারপতি হয়েছেন মানিক!

Spread the love

2016_02_09_17_32_34_KvtinRdSsBejLfZ4DqUYsj6gRyfoMW_originalবাংলা সংলাপ ডেস্ক:আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তথ্য গোপন করে বিচারপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মানিকের ‘জাজশিপ’ প্রত্যাহার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার ঠিক একদিন পরেই এ রকম একটি অভিযোগ দায়ের করলেন সুপ্রিমেকোর্টে এক আইনজীবী।

বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী দুনীর্তি দমন কমিশন (দুকক) বরাবর এ অভিযোগ দয়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক দ্বৈত নাগরিকপ্রাপ্ত। দ্বৈত নাগরিক হিসেবে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। পক্ষান্তরে তিনি প্রথমে বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিবচারপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে করেছেন। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ নাগরিক।

তিনি আইনজীবী আরো অভিযোগ করেন, ‘দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময় মানিক কাগজ-পত্রে দ্বৈত নাগরিকের কোন তথ্য দেননি। অর্থাৎ দ্বৈত নাগরিক সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।’ যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এ সকল বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দ্বৈত নাগরিকের তথ্য গোপন করার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তের আবেদন জানান এই আইনজীবী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক বঙ্গভবনে গিয়ে বিচারপতি মানিকের জাজশিপ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন জমা দিয়ে আসেন।

এই আইনজীবী বলেন, ‘অতিদ্রুত যদি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তার জাজশিপ প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।’


Spread the love

Leave a Reply