ফিলিস্তিন সংকটে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান বাংলাদেশের : মাহামুদ আব্বাসের কৃতজ্ঞতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে ‘জরুরি ও অর্থবহ পদক্ষেপ’ নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। একইসঙ্গে তিনি একটি স্বাধীন আবাসভূমি গড়ার সংগ্রামের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনব্যাক্ত করেন।
বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনি স্বার্থের দৃঢ় সমর্থক উল্লেখ করে তার দেশের প্রতি অব্যাহত সমর্থন ও সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রতি ফিলিস্তিনি জনগণ ও সরকারের পক্ষে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
শনিবার মধ্য রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠককালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট তার জনগণের ওপর ইসরাইলের নৃশংসতা ও শান্তি প্রক্রিয়ার পথে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা সম্পর্কে মাহমুদ আলীকে অবগত করেন।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ এশিয়ায় তিন দিনের সফরের অংশ হিসেবে জাপানে যাওয়ার পথে গতরাতে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন।
বৈঠককালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান।
মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের স্বার্থের প্রতি সমর্থনে জাতিসংঘ, ওআইসি, ন্যাম ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সদা সোচ্চার।
মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়ায় বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের ব্যাপক আনুকূল্য প্রত্যক্ষ করতে এদেশে দ্বিপক্ষীয় সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী শনিবার রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও তার সফরসঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজসম্পদ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তারাও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। ইউএই, সৌদি আরব ও কাতারের রাষ্ট্রদূতগণ এবং ওমান, মিশর, ইরাক ও লিবিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং মরক্কোর ডিসিএমও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানাতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন তার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. রিয়াদ আল-মালকি, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাহেল আবু রোদানি, কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. মাজদি আল খালদি ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মুস্তফা আবু আল-রাব। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে রাত আড়াইটায় ঢাকা ত্যাগ করেন।