ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ব্রিটিশ ও মার্কিন দূতাবাসের ভ্রমণ সতর্কতা
ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকায় রাজনৈতিক র্যালির প্রেক্ষিতে ভ্রমণ সতর্কতা দিয়েছে বৃটিশ সরকার। তারা বলেছে, রাজনৈতিক র্যালি সহিংস সংঘাতে রূপ নিতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে এই সহিংসতা ঘটতে পারে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে পোস্ট করা সতর্কতায় বলা হয়েছে, ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় রাজনৈতিক র্যালি হওয়ার কথা। এতে পরিবহন, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ১০ই ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে কয়েকদিনে আইন প্রয়োগকারীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর প্রেক্ষিতে বৃটিশ নাগরিকদের সতর্ক করে ওই বিবৃতিতে সব রকম বড় সমাবেশ, বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আপডেট করা ভ্রমণ সতর্কতায় যথারীতি অন্যান্য বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, আপনি বাংলাদেশ সফরের আগে ‘এন্ট্রি রিকোয়ারমেন্টস’ সেকশন পরীক্ষা করে দেখবেন। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে এ নিয়মনীতি সতর্কতা ছাড়াই বদলে ফেলা হতে পারে। এ বিষয়ে সর্বশেষ পরামর্শ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ বৃটিশ নাগরিক বাংলাদেশ সফর করেন। তবে তারা ঝামেলামুক্ত থাকেন। বর্ষাকালে এই সফর হতে পারে বিপজ্জনক। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখনও বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের হামলার বড় আশঙ্কা আছে। এই হুমকি সারাদেশেই বিদ্যমান। ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের টার্গেট করে এর আগে হামলা হয়েছে। ভবিষ্যতে ধর্মীয় সমাবেশ, রাজনৈতিক সমাবেশ, জনাকীর্ণ এলাকা, পুলিশ বা নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের উপস্থিতির স্থান এবং বিদেশিরা যেখানে সমবেত হন বলে পরিচিত- সেখানে এই ঝুঁকি আছে। তাই এসব স্থানকে এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বৃটিশদের। সতর্কতায় আরও কিছু ইস্যু তুলে ধরা হয়েছে, যা এর আগে দেয়া সতর্কতায়ও আছে।
মার্কিন দূতাবাস
বাংলাদেশের প্রধান দুটি বড় রাজনৈতিক দল ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার র্যালির ঘোষণা দিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ার কথা থাকলেও এই বিক্ষোভ সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে সহিংসতা। এ কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে অবস্থানরত নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে তারা। বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগে অথবা ওই বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো সভাসমাবেশ ও অন্য নির্বাচনকেন্দ্রীক কর্মকাণ্ড এরই মধ্যে শুরু করেছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই ঘন ঘন রাজনৈতিক সভাসমাবেশ, বিক্ষোভ হতে পারে। এর তীব্রতাও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার ভিন্ন এলাকায় র্যালি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল।
এতে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে (বাংলাদেশে অবস্থানরত) মার্কিন নাগরিকদের নজরদারি বাড়িয়ে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়, আপনার উচিত হবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা। কোনো বড় সমাবেশের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরামর্শ দেয়া হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা রিভিউ করতে, চারপাশের বিষয়ে সচেতন থাকতে। এর মধ্যে আছে স্থানীয় বিভিন্ন ইভেন্ট। পরামর্শ দেয়া হয়েছে পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিষয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মনিটর করতে। অনুরোধ করা হয়েছে সব সময় নিজের সঙ্গে চার্জযুক্ত মোবাইল ফোন বহন করতে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যায়।