ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচার নিয়ে মায়ামিতে উত্তেজনা
ডেস্ক রিপোর্টঃ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মায়ামির আদালতে হাজির হচ্ছেন যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তার সাথে জড়িত গোপনীয় দলিলপত্র ভুলভাবে দেখাশোনার অভিযোগ আনা হবে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- মার্কিন সরকারের গোপনীয় দলিলপত্র তিনি তার মার-এ-লাগো’র বাড়িতে একটি শাওয়ার রুম, বাথরুম, বলরুম এবং একটি বেডরুমে রেখে দিয়েছিলেন।
এই শুনানিতে অবৈধভাবে গোপনীয় নথি সংরক্ষণ এবং সেগুলি ফেরত পেতে সরকারের প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সবগুলিই তিনি অস্বীকার করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মি. ট্রাম্প এখন আবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তৈরি হচ্ছেন এবং এসব অভিযোগকে “নির্বাচনে হস্তক্ষেপ” বলে বর্ণনা করেছেন।
ওদিকে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্টের হাজির হওয়ার আগে থেকেই মায়ামিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মি. ট্রাম্প তার সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রাইড বয়েজ নামে একটি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীর স্থানীয় শাখাও এই প্রতিবাদে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
মায়ামির রিপাবলিকান মেয়র এবং শহরের পুলিশ প্রধান সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
মি. ট্রাম্পই হবেন কেন্দ্রীয় ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত প্রথম কোন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি আদালতে মুখোমুখি হচ্ছেন।
বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, এসব অভিযোগের বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও দুটি পৃথক অপরাধ তদন্তে অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
গত মাসে যৌন নির্যাতনের জন্য দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর আদালত একজন লেখিকাকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়।
এরই মধ্যে জর্জিয়ার অঙ্গরাজ্যের সরকারি কৌঁসুলিরা তদন্ত করে দেখছেন যে মি. ট্রাম্প এবং তার সহযোগীরা ২০২০ সালের নির্বাচনে ঐ রাজ্যে স্বল্প ভোটে তার পরাজয়ের ফলাফল তিনি অবৈধভাবে উল্টে দেয়া চেষ্টা করেছিলেন কি না।
এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন তদন্ত করা হচ্ছে কি না তা জানা যায়নি, তবে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের কোন এক সময়ে এই অভিযোগনামা প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন বিচার দফতর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ ভবন ক্যাপিটলে হামলা এবং নির্বাচনকে বাতিল করার প্রচেষ্টার অভিযোগে একটি ফৌজদারি তদন্ত চালাচ্ছে।
কিন্তু ঐ প্রচেষ্টাটি চালানো হয় কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে। এখন এটি খুঁজে বের করতে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পুলিশ তদন্ত চলছে।
তবে ঐ তদন্তে মি. ট্রাম্প কতটা লক্ষ্যবস্তু তা জানা যায়নি।