২ মাস পর…
টানা দুই মাস সাত দিন কলকাতায় রয়েছেন ভার্সেটাইল অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘রাজলক্ষ্মী শ্র্রীকান্ত’ অবলম্বনে কলকাতার ছবিতে কাজ নিয়ে এই সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। টানা শুটিংয়ে তিনি এ সময়ে অংশ নিয়েছেন। তবে আজই দেশে ফিরছেন জ্যোতি। সব মিলিয়ে কলকাতা থেকে এ অভিনেত্রী জানান, এত লম্বা সময় আসলে কখনও দেশের বাইরে থাকিনি। এবারই প্রথম।
তবে এ ছবির কাজের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি কিন্তু আমি নিয়ে আসছি প্রায় এক বছর ধরে। অবশেষে আমার অংশের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ছবির কাজ এখনও বাকি। সব মিলিয়ে কি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন? জ্যোতি উত্তরে হেসে বলেন, আসলে ছবি মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার স্বস্তি নেই। তবে আমার কাজে সবাই খুশি। বিশেষ করে আমার পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টচার্য্য অত্যন্ত স্বস্তিবোধ করছেন। সেটা তিনি নিজেই আমাকে বলেছেন। পরিচালকের স্বস্তিতেও অভিনয়শিল্পীর স্বস্তি মেলে, তাই নয় কি? জ্যোতি বলেন, সেটা চিন্তা করলে অবশ্যই স্বস্তিবোধ করছি। আর এ সিনেমায় নিজে কতটুকু দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন? জ্যোতি উত্তরে বলেন, ওই যে বললাম এক বছর রাজলক্ষ্মীকে নিজের ভেতর ধারণ করার চেষ্টা করেছি। মাঝ্যে মধ্যে ভুলেই যেতাম আমি জ্যোতি! নিজেকে রাজলক্ষ্মীই মনে হতো। আমার কো-আর্টিস্ট হিসেবে ছিলেন হৃতিক। এছাড়া ছিলেন রাহুল, অপরাজিতা। সবার খুব সহযোগিতা পেয়েছি। আর আমার পরিচালকের কথা তো না বললেই নয়। কীভাবে শতভাগ কাজ একজন শিল্পীর কাছ থেকে উঠিয়ে আনা যায়, সেটা তিনি খুব ভালো করেই জানেন। অনেক কিছু শিখেছিও এ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে। সব মিলিয়ে অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরছি। দেশে তো আজ ফিরছেন। এখানে এসে কি ছোট পর্দায় ব্যস্ত হবেন? জ্যোতি বলেন, আমার সঙ্গে এরই মধ্যে ফেসবুকেও অনেক পরিচালক যোগাযোগ করেছেন। স্ক্রিপ্ট জমা হয়ে আছে। দেশে এসে এগুলো পড়বো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো করবো কি না। আসলে গতানুগতিক কাজ করবো না। গত দুই বছরে তাই ছোট পর্দার কাজ করেছি হাতেগোনা। এখনও গতানুগতিক কাজ করবো না। ভিন্নধর্মী কিছু হলে করবো।