যৌন কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করলেন বৃটিশ মন্ত্রী
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃযৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বৃটিশ বিজনেস বিষয়ক মন্ত্রী অ্যানড্রু গ্রিফিথস। তিনি পানশালার দু’জন পরিচারিকাকে দুই হাজার রগরগে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী টেক্সট ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। তাদের কাছে রগরগে ছবি ও ভিডিও দাবি করেছিলেন। এ বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর শনিবার দিবাগত রাতে পদত্যাগে বাধ্য হন ওই মন্ত্রী। এতে বলা হয়, পদত্যাগী মন্ত্রী অ্যানড্রু গ্রিফিত বিবাহিত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পানশালার ওই দু’জন পরিচারিকার সঙ্গে পরিচিত হন।এরপর তাদের সঙ্গে রগরগে আলোচনা ও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এপ্রিলে তিনি একটি সন্তানের পিতা হয়েছেন। সেই গ্রিফিথ একজন পরিচারিকা ইমোজেন ট্রেহারনিকে (২৮) ও তার সঙ্গীকে ৭০০ পাউন্ড পাঠিয়েছেন। তাদেরকে প্রস্তাব করেছেন একটি ফ্লাট ভাড়া নিতে, যেখানে তারা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন। এর মধ্যে তিনি ওই দুই পরিচারিকাকে এমন সব মেসেজ পাঠিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তিনি তাদেরকে শরীরের অন্তর্বাসগুলো খুলে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এমন এক সুযোগে তারা তাকে কাছে পেয়েছে। তিনি তাদেরকে অনেক ভাল উপহার দিতে যাচ্ছেন। আরেকটি ম্যাসেজে তিনি লিখেছেন, আগে তার একজন প্রেমিকা ছিল। তিনি পোশাক পলে শূকরের মতো দেখাতো। নাক, কান ও চুল ছিল শূকরের মতো। আরো বার্তায় তিনি লিখেছেন, আমি যখন সক্রিয় হয়ে উঠি তখন আমি শয়তান হয়ে উঠি। এসব বার্তা পাওয়া এক পরিচারিকা ইমোজেন বলেছেন, এত বেশি পরিমাণ বার্তা পেয়ে তিনি হতাশ হয়েছেন। তিনি এগুলো নোংরামি ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন নি। এসব তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর ওই মন্ত্রী বলেছেন, এই স্ক্যান্ডালের বিষয়ে তিনি গভীরভাবে লজ্জিত। এ ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত হতে তিনি পেশাদারদের সহায়তা নেবেন। উল্লেখ্য, অ্যানড্রু গ্রিফিথের স্ত্রী কেট এ বছরের এপ্রিলে একটি কন্যা সনআন অ্যালিসকে জন্ম দেন। এরপরই বেরিয়ে আসতে থাকে গ্রিফিথের ওই কাহিনী। এখন তিনি পদত্যাগ করায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে তার সামনের বেঞ্চ থেকে আরো একজন মন্ত্রীকে হারালেন। এর আগে ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। ওদিকে ব্রেক্সিট সম্পাদনার জন্য তেরেসা মের সামনে আর এক বছরেরও কম সময় আছে। এরই মধ্যে তাকে সব সমঝোতা বা দরকষাকষি শেষ করতে হবে। তবে নিজের সরকারে যে অবস্থা এখন তাতে তার ক্ষমতা নিয়েই টানাটানি। তার মধ্যে মন্ত্রী গ্রিফিথ চলে যাওয়ায় তেরেসা মে আরও চাপে পড়বেন। পদত্যাগ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন গ্রিফিথ। তাতে তিনি তার আচরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন যে, তিনি গভীরভাবে বিব্রত। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিরোধী দল বিষয়ক তার চিফ অব স্টাফ, পরিবেশ, পরিবহন ও পরিবার বিষয়ক নীতির বিষয়ে কাজ করতেন।