৩৫ লাখ টাকার পোশাক ও অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়েছে: মীম
বিনোদন ডেস্কঃ জনপ্রিয় মডেলও অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম। ছোটপর্দায় বহুবিচরণ হলেও চলচ্চিত্রে নিজেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন কম দিন নয়। হুমায়ুন আহমেদ পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচিত্রে অভিষেক ঘটে তার। তারপর শুধু ছোটপর্দার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেন নি তিনি। আপন কৌশলে এগিয়েছেন চলচ্চিত্রে। সম্প্রতি মুক্তি পেতে যাচ্ছে মীম অভিনীত তন্ময় তানসেন পরিচালিত ‘পদ্ম পাতার জল’ চলচ্চিত্র। সে কারণেই মীম’র এত ফিরিস্তি। এছাড়াও আরো কারণ আছে। বাংলাদেশের নির্মাতা কিবরিয়া লিপু আর কলকাতার রাজা চন্দ্র যৌথভাবে নির্মিতব্য চলচ্চিত্র ‘রকেট’ এ অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পদ্ম পাতার জল’ ছবিটি প্রসঙ্গে মিম জানান,একটা বিষয় না বললেই নয় এ ছবির সঙ্গে অন্যান্য ছবিগুলোকে তুলনা করা যাবে না। কারণ এ ছবির গল্প, গান, ছবির লোকেশন, চিত্রগ্রহণ সেই সঙ্গে পরিচালনা সবকিছু মিলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে ‘পদ্ম পাতার জল’। এ ছবিটির যেখানে যেখানে দৃশ্যধারণ করা হয়েছে তা হলো প্রত্নতাত্বিক এবং ঐতিহাসিক এলাকা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানিকগঞ্জের বালিয়াটি রাজবাড়ী, সোনার গাঁ পানাম সিটি, আহসান মঞ্জিল, ধনবাড়ী জমিদারবাড়ীসহ আরও বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থানে ছবিটির দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। যার কারণে প্রত্যাশা অনেক। ‘পদ্ম পাতার জল’ গতানুগতিক নয়। এখন দর্শকদের জন্য অপেক্ষা তাদের কাছ থেকে কতটুকু সাড়া পাওয়া যায়।
এ ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ফুলেশ্বরী। যে রাজমহলের বাঈজী। যাকে দেখতে কিংবা তার সঙ্গ পেতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে।এ ফুলেশ্বরীকে কেন্দ্র করেই ছবির গল্প এগিয়ে গিয়েছে। আমার ঠিকানা হচ্ছে জাঁকজমকপূর্ণ বাঈজী বাড়ির ঝুমরী মহল। একদিন ক্ষমতাশালী জমিদার নন্দন শিশির আমার মহলে আসে। আমাকে দেখে সে প্রেমে পড়ে যায়। এরপর বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প চলতে থাকে।
এ ছবির সংলাপগুলো অনেক মজার মজার। দর্শকদের জন্য বিশেষ কিছুই হচ্ছে পুরো ‘পদ্ম পাতার জল’। যা দেখলে মনে হবে অনেকদিন পর এ ধরনের একটি ছবি দেখলাম। এছাড়া সেন্সর বোর্ডে ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তারা বলেছেন অনেকদিন পর ভালো একটি ছবি দেখলাম। এটি একটি পরিবারকে নিয়ে দেখার মত ছবি।
এ ছবিটি শুরু থেকেই বেশ আলোচনায় ছিলো। এর প্রধান কারণ ছিলো অনেক বেশী অর্থ ব্যায় করা হয়েছে ছবিটি নির্মাণে। যেমন একটি বিষয় হলো ৩৫ লাখ টাকার পোশাক ও অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়েছে। যা সব অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছে। অরিজিনাল টেরাকোটা ব্যবহৃত হয়েছে ৬টি। যার জন্যে খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকা। এ ছবিতে নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন বলিউডের নামকরা নৃত্য পরিচালক প্রতাপ শেঠী, হারেস ভাট এবং আমাদের দেশের নামকরা নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল আর জাকির হোসেন। এখন শুধু দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখার পরে তাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় আছি।