মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে যেতে দেয়া হচ্ছেনা, ক্যামেরনের হস্তক্ষেপ চাইলেন লেবার এমপি
![লেবার পার্টির এমপি স্টেলা ক্রিজি](https://www.banglasanglap.co.uk/wp-content/uploads/2015/12/o-STELLA-CREASY-facebook.jpg)
বাংলা সংলাপ ডেস্ক
কোন কারন দর্শানো ব্যাতিরেখেই যুক্তরাষ্ট্রে যেতে না দেয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্রিটিশ নাগরিক। অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন ইমামও। আর লেবার পার্টির এক এমপির মাধ্যমে গুরুতর এ অভিযোগ ইতমধ্যে পৌছে গেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের কাছে।
উত্তর-পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথামস্টো এলাকার এমপি স্টেলা ক্রিজিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রে যাবার অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও, তার নির্বাচনী এলাকার এক মুসলিম পরিবারকে গত সপ্তাহে লস এঞ্জেলেসের বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। গত ১৫ই ডিসেম্বর লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ১১-সদস্যের ঐ পরিবারের লস এঞ্জেলেসে যাওয়ার কথা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, ইন্টারনেটে আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অনুমতি পত্রও নিয়েছিলেন তারা।
কিন্তু বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা পরিবারটিকে বিমানে উঠতে দেয়নি। কোনও কারণও তাদের জানানো হয়নি। এমনকি বিমানের টিকিট বাবদ যে ৯০০০ পাউন্ড নেয়া হয়েছে, সেটাও ফেরত দিচ্ছেনা ওই এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
গমনেচ্ছু এগারো জনের মধ্যে নয় জনই ৮ থেকে ১৯ বছরের বছর বয়সী শিশু, কিশোর এবং তরুণ। পরিবারের প্রধান তারিক মাহমুদ জানান, তারা প্রথমে ক্যালিফোর্নিয়ায় আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাচ্চাদের নিয়ে ডিজনিল্যান্ডে যাওয়া। তিনি আরো বলেন, আমি আমার জীবনে এতটা বিব্রত হইনি। আমাদেরকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। হামলা হতে পারে এই ভয়ে তারা সব মুসলিমকে হুমকি মনে করতে পারে না।
শুধু মাহমুদের পরিবারই না, অনেক ব্রিটিশ মুসলিমই একই অভিযোগ করেছেন জানিয়ে এমপি স্টেলা ক্রিজি প্রধানমন্ত্রী ক্যামরনকে লিখেছেন, কেন অনেক ব্রিটিশ মুসলিমকে তারা প্লেনে উঠতে দিচ্ছেন না তার কোন ব্যাখ্যাও যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছেনা। এতে করে ব্রিটিশ মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ক্যামরনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
লন্ডনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন ইমাম আজমল মশরুরকেও ১৭ই ডিসেম্বর নিউইয়র্ক গামী একটি বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। জনাব আজমল পেশায় একজন শিক্ষকও। বিমানবন্দরে তাকে শুধু জানানো হয়, তার ভ্রমণের অনুমতিপত্র বাতিল করা হয়েছে।
অবশ্য এমপি স্টেলা ক্রিজির চিঠির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনও কোনো জবাব আসেনি। শুধু বলা হয়েছে, বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।