খাদে বাংলাদেশ – নিশ্চুপ সেনাবাহিনী !

Spread the love

5বাংলা সংলাপ রিপোর্ট
কি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে ! প্রেট্রোলবোমায় স্তম্ভিত সারা দেশ । ঘরে বাইরে সর্বোত্র যেন আতংক আর সন্তান হারা বাবা-মা এবং মা-বাবা হারা সন্তানদের আর্তনাদ । ক্ষমতার মসনদে বহাল তবিয়তে হাসিনা আর রাজনৈতিক অফিসে বসে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন খালেদা । অন্যদিকে রাস্তায় কিংবা বাসে পুড়ছেন দেশের সাধারন মানুষ । এক কথায় খাদে বাংলাদেশ । খাদে পড়ে কাতরাচ্ছেন জনগন আর ভংগভবনে নিষ্ঠুরের মতো বসে আছেন রাষ্ট্রপতি । দেশবাসির প্রতি যেন তার কোন দায়িত্ব নাই ! হায়রে বাংলাদেশ ! দেশের সর্বোচ্চ শান্তির প্রতিক রাষ্ট্রীয় বাহিনী ( সেনাবাহিনী ) একদম নিশ্চুপ , লাশের গন্ধ আর বাবা – মা এবং সন্তানহারাদের আর্তনাদ কিছুতেই যেন তাদের মনিকোটায় নূন্যতম স্প্রর্শ করতে পারেনি । সময় যত যাচ্ছে অন্ধকার ততো ঘনিভুত হচ্ছে । কি হবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের , কি বা আছে তাদের ভাগ্যে । একদিকে হাসিনার মসনদ যেকোন মুল্যে ঠিকিয়ে রাখা অন্যদিকে আপষহীন নেত্রী খালেদার গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন , মাঝখানে দেশের জনগন ।
4তবে খুব শিগ্রই কি পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে ? বিশেষ সুত্রে জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সেনাবাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করবেন । এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন না হলে ওই দিনই মধ্য রাত থেকে সেনাবাহিনী ক্রু করতে পারে । তবে সেই সেনা ক্রু ঘটনাটি ভিন্ন মাত্রায় হতে পারে । ক্ষমতাশীন দলের গা বাছিয়ে হয়তো এমন কিছু করা হতে পারে! সুত্রে জানা যায় সরকার এর আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সর্বোচ্চ কৌশল কিংবা ফন্দি প্রয়োগ করবে ।পরিস্থিতি যাই হোক কোন অবস্থাতেই মসনদ ছাড়তে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী এমন আভাসও পাওয়া গেছে । সরকারের ক্ষমতার কাছে অসহায় বুদ্ধুজীবীরাও । সংকট সমাধানে তাদের কোন কথায় যেন কর্নপাত করছে না সরকার । অতীত ইতিহাস থেকে দেখা গেছে দেশের যে কোন ক্লান্তিলগ্নে বুদ্ধিজীবী ও প্রথম শ্রেনীর নাগরিকরা সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেন, আর এর মাধ্যমে সংকটের সুরাহাও হয়েছে কখনও কখনও । তারা ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছেন । কিন্তু সরকার এমনভাবে মাস্টারপ্লান করে এগুচ্ছে মনে হচ্ছে সব কিছু আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে । মিডিয়া গুলোরও কন্ঠ্রোধ করা হয়েছে । ভয়ে কথা বলছেন না কেউই । একই অবস্থা প্রশাসনেও , চাকুরী হারানোর ভয়ে তারাও নিশ্চুপ ।
3টানা অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালের মধ্য দিয়ে চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের আন্দোলন। গতকাল ফের ৩৬ ঘণ্টার জন্য হরতালের সময়সীমা বাড়িয়েছে বিরোধী জোট। অবরোধ অব্যাহত রেখে দফায় দফায় হরতালের মধ্য দিয়ে চলমান আন্দোলন এগিয়ে নিতে চায় তারা। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশব্যাপী লাগাতার হরতালের নীতিগত সিদ্ধান্তও নিয়েছে ২০ দল। যে কোন পরিস্থিতিতে একদফার আন্দোলন অব্যাহত রাখার পক্ষে অনড় বিরোধী জোট। ডু অর ডাই নীতিতে চলবে আন্দোলন। লাগাতার হরতালের পরবর্তী পর্যায়ে আসতে পারে অসহযোগ। কেবল বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলেই তাৎক্ষণিকভাবে সে পথে হাঁটবে। বিএনপি নেতারা প্রত্যাশা করেন, শিগগিরই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। দেশের মানুষের মনোভাব, জনমতের চাপ, আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা এবং নিরপেক্ষ শক্তির উদ্যোগে পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তেমন কিছু হলে ইতিবাচকভাবেই দেখবে ২০ দল। বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন থামানো যাবে না। সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলেও ২০ দলের কেন্দ্রীয় কিছু নেতা পরিস্থিতি অনুযায়ী করণীয় নির্ধারণ করবেন। সে অনুযায়ী একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরেকজন মুখপাত্র ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এখন কৌশলগত অবস্থানে রয়েছেন। এমনকি ঢাকা মহানগর বিএনপির সব মতের নেতারা আন্দোলনের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এখন থেকে তারা আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।2 বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, স্বল্পমেয়াদি কর্মসূচির মাধ্যমেই আন্দোলন সফল করার পরিকল্পনা ছিল ২০ দলের। তারা ধারণা করেছিলেন, সরকার প্রকাশ্যে যাই বলুক, শেষ পর্যন্ত জনগণের দাবি ও রাজনীতির বৃহত্তর স্বার্থে ইতিবাচক উদ্যোগ নেবে। তবে আন্দোলন শুরুর পর সরকারের ভূমিকায় তাদের সে ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। এরপর দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের কৌশলও ঠিক করা হয়েছে বিরোধী জোটের তরফে। খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরাসরি যোগাযোগে নতুন করে চাঙ্গা হয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা। তাদের সমর্থন এবং দাবির কারণে আন্দোলন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মনোবল পেয়েছেন খালেদা জিয়াও। তাই নানামুখী প্রতিকূলতার মধ্যেও অনড় অবস্থানে রয়েছেন তিনি। টানা এক মাস কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা, ছেলের November...............Thirteen-85-300x200মৃত্যুর পরও নমনীয় হননি তিনি। ওদিকে সপ্তাহ দেড়েক মুক্ত রাখার পর শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, কেবল টিভি, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় সরকার। পরের দিন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও বাকিগুলো এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে ২০ দলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে গাড়ি পোড়ানোসহ নানা নৈরাজ্য। এতে হতাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, 7বিএনপির ঘাড়ে নৈরাজ্যের দায় চাপানো হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। এসব ঘটনায় প্রতিদিন মামলার পাহাড় চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ঘাড়ে। খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হকুমের আসামি করে করা হয়েছে কয়েকটি মামলায়। বাদ যাচ্ছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদের মতো বরেণ্য ব্যক্তিও। বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হচ্ছে ২০ দলের নেতাকর্মীদের। নেতারা জানান, নানামুখী অপপ্রচারের শিকার হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না ২০ দল। রাজনৈতিকভাবে ২০ দলের সামনে সে সুযোগ নেই। বরং আন্দোলনের গতি বাড়াতে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হবে। বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ন নজরধারীর মধ্যে কিছু যানবাহন চালানো হলেও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল খুবই কম। বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপি বড় রাজনৈতিক সংগঠন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত অনেকেরই পরিবহন ব্যবসা রয়েছে। আন্দোলনের স্বার্থে তারা ব্যবসার ক্ষতি স্বীকার করছেন। তাদের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। কিন্তু তাদের ওপর মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি সরকারের তরফে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকজনকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও চাপ প্রয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন পরিবহন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দিয়েছে সরকার।


Spread the love

Leave a Reply