খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন হবে না ( ভিডিও)

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃদীর্ঘ আড়াই বছর পর নয়াপল্টনে সমাবেশের সুযোগ পেয়েছে বিএনপি। কিন্তু প্রশাসনের শর্তের বেড়াজালে দেয়া অনুমতির কারণে নানা অনিশ্চয়তা ছিল সমাবেশ আয়োজনে। তিন সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশিরভাগ। তার উপর সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয় নয়াপল্টনের সমাবেশস্থল ঘিরে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় প্রিজনভ্যান, জলকামান ও এপিসি। কিন্তু সব অনিশ্চয়তা ও গ্রেপ্তার আতঙ্ককে উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের লাখো নেতাকর্মী এবং সমর্থক রাজপথে নেমেছেন কাল।
সমাবেশ থেকে খালেদা-বিহীন নির্বাচন ‘প্রতিরোধের ডাক’ দিয়েছে বিএনপি। মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির নেতারা। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সরকারের প্রতি অনেকগুলো ‘শর্ত’ তুলে ধরে সমাবেশে নেতারা সাফ ঘোষণা দিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের এক নম্বর শর্তই হচ্ছে- দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও কারামুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এদিকে দুপুরের পর থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহ নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন নয়াপল্টনে। কর্মী-সমর্থকদের স্রোতে বিকালে রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন। দুপুর আড়াইটার মধ্যে ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভিড়ে সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগানে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ই জানুয়ারি নয়াপল্টনে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারপর থেকে নানা কারণ দেখিয়ে বিএনপিকে সমাবেশে অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান, অনশন, গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদান, কালো পতাকা প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণসহ নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে দেশব্যাপী। এ সময় রাজধানীতে একাধিকবার প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পায়নি বিএনপি। ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর এই প্রথম রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। ২৩ শর্তের ঘেরাটোপের মধ্যেও সমাবেশে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে উজ্জীবিত হয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল। সে উজ্জীবিত মনোভাব থেকেই দলটির নেতারা বলেছেন, আগামীতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করবে না বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হবে। এরপর আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবো এতো তারিখে সমাবেশ করতে যাচ্ছি। সমাবেশ থেকে ৯টি বাম দল মিলে সমপ্রতি গঠিত নতুন জোট গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়েছেন মির্জা আলমগীর। জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সব রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি চেয়ারপারসনের কারামুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানী ছাড়াও সারা দেশে মহানগর-জেলা-উপজেলায় একযোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে দলটির নেতাকর্মীরা।


সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন করতে হলে এক নম্বর শর্ত হলো- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা আলমগীর বলেন, আপনারা সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করবেন না। কারণ আপনারা জানেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আপনাদের পরাজয় হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল দল অংশ নিলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। তবে, আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাকে নিয়েই বিএনপি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার কারণ সরকার তাকে ভয় পায়। এজন্য তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। এমনকি আসন্ন নির্বাচন থেকেও দূরে রাখতে চায়। ২০১৪ সালের পাতানো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয় মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে গণতন্ত্রের জন্য মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের মানুষের উপর চেপে বসা পাথর সরানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৯টি বাম দল মিলে গঠিত নতুন জোট গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন গঠিত এই গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার দাবিগুলো আমাদের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে মিলে গেছে। তাই সরকারের বাইরে থাকা সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাব। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রত্যকটি মানুষ ভয়ে আছে। তারা ভয়ে আছে যে, কখন গুম হয়ে যায়। কোটা আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। নির্যাতন করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আজকে ছাত্রলীগের যে ভূমিকা আয়ুব খানের বাহিনীর চেয়েও ভয়াবহ। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে আজ কেউ নিরাপদ নয়। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, এমপি মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য আমরা একটা পরিবর্তন চাই। ?আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে চাই। স্বাধীনতা ফিরে পেতে চাই। নির্ভয়ে চলার অধিকার ফিরে পেতে চাই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দেশের সকল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে, কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সমপ্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ভল্টে নকল সোনা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিদেশি কোনো বিনিয়োগ আসছে না, নতুন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, নতুন করে কোনো চাকরি নেই, বিদেশে যারা চাকরি করতে গেছে তারাও ফিরে আসছে। পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগকে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আজ বিচার বিভাগও একপাক্ষিক দায়িত্ব পালন করছে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কেউ কথা বললে তাদের সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের অনুমতি দেয়নি। এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার ২০১৪ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তাই তারা জনগণকে ভয় পায়। যদি তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসত তাহলে আজকে তারা জনগণকে ভয় পেতো না। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া সত্ত্বেও এই সরকার মুক্তি দিচ্ছে না। আজকে একটি নির্জন কারাগারে খালেদা জিয়া মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। একটাই উদ্দেশ্য এই সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আবারো একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। এদেশের জনগণ স্বৈরাচারী সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, যতই নীল নকশা করা হোক না কেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হতে দেবো না। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ১০ বছর হতে চলেছে একটি বিনা ভোটের সরকার অন্যায়ভাবে জোর করে সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থি পদ্ধতি অবলম্বন করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। এখন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য একটি সুযোগ এসেছে চ্যালেঞ্জ প্রহণ করার। সেটা হচ্ছে এই সরকারের পতন ঘটানো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। যদি আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব না হয় তাহলে রাজনৈতিকভাবেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আগামীতে জনসভা করার জন্য আমরা কোনো অনুমতির অপেক্ষায় বসে থাকব না। আমরা কর্মসূচি দেবো এবং তা বাস্তবায়িত হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে যাব। কেউ যদি মনে করেন ফাঁকা মাঠে গোল দেব। স্পষ্টভাবে তাদের বলতে চাই আর ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেয়া হবে না। তাই খালি মাঠে গোল দেয়ার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা আন্দোলনের সময় সামনে থাকবে। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবে। শেখ হাসিনার মিত্রদের অনুরোধ করবো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিয়ে কেউ খেলা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালের যুদ্ধ করে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে একটি পাতানো নির্বাচন করার কৌশল নিয়েছে। তবে খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে সরকারের পাতানো নির্বাচন করার পরিকল্পনা কোনোদিনই সফল হবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন পাইলট, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ যুবদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ বক্তব্য দেন। এছাড়া সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সেলিম রেজা হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিমউদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ বিএনপি ও অঙ্গ দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আলাদাভাবে মিছিলসহ অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কাইয়ুম-হাসান বিরোধী নেতারা। মূল সমাবেশ শুরুর আগে মহানগর উত্তর বিএনপির আন্দোলনকারী নেতারা সংঘবদ্ধভাবে উত্তর বিএনপির ব্যানার নিয়েই সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। অন্যদিকে ৩রা জুন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৫ থানা ও ৫৬ ওয়ার্ড কমিটি গঠন হলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় তাদের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেনি মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, মহানগর উত্তর বিএনপির ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৩২ জনই ঘোষিত থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন।


Spread the love

Leave a Reply