বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: স্বাধীনতাযুদ্ধের পর বিএনপির আমলেই বাংলাদেশ একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল। যাঁরা ১৯৭১ সালে সবকিছু তুচ্ছজ্ঞান করে স্বাধীনতার জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, তাঁরাই পরবর্তী সময়ে এক জোট হয়ে গঠন করেন বিএনপি। স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম রাজনৈতিক ফসলও এই বিএনপি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের তাগিদে ঐতিহাসিক এক প্রেক্ষাপটে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র যাত্রা শুরু করেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান। এর ফলে ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগসহ নিষিদ্ধ হওয়া রাজনৈতিক দলসমূহকে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়ে বহুদলীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। ৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি হলে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ। সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, মানচিত্র ও একটি পতাকা পেলেও কার্যকর রাষ্ট্র বলতে যা বোঝায়, তা আমরা অর্জন করতে পারিনি। স্বাধীনতার পরপরই একটি কার্যকর শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও হানাহানি ছড়িয়ে পড়েছিল চতুর্দিকে। ৭৪এর দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ হলে এখনো অনেকের গাঁ শিউরে উঠে। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র এবং লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের অঙ্গীকার, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে চোরের দল, চাটার দল বলে নিজের দল আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল  বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিলেন। শুধু তাই নয় শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের ম্যান্ডেট ব্যতিরেকেই নিজেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই রকম একটি অবস্থার বিপরীতে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি বিএনপি’র যাত্রা শুরু করেন  । একদলীয় রাজনীতির বিপরীতে শুরু হয় বহুদলীয় রাজনীতি। বিচারব্যবস্থায় স্বাধীনতা ফিরিয়ে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে সংবাদপত্রের উপর থেকে প্রত্যাহার করা হয় সকল নিষেধাজ্ঞা ।

বক্তারা বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি বিএনপির আমলে প্রবাসী ও পোশাক রপ্তানির আয় থেকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বাবলম্বী এক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে । মূলত বিএনপির আমলেই বাংলাদেশ একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মতো একটি উদার ও বহুপক্ষীয় বহুদলীয় রাজনীতির ওপর নির্ভর করে নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার বিকাশ ঘটতে শুরু করে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ তৈমুছ আলী, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান সরকার, যুক্তরাজ্য বিএনপির  সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, কাজী ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, আবেদ রাজা, এম এ মুকিত, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ  আহমেদ খান, মিসবাহুজ্জামান সোহেল,  ডঃ মুজিবুর রহমান (দপ্তরের দায়িত্বে ),  জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন, যুগ্ম  সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, হাসনাত কবির খান রিপন, ইতালি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ তৌকির কাদির, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ( যুগ্ম সম্পাদক পদ মর্যাদা ) ও  যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন আরিফ, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাদল, কেন্ট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল ইসলাম রুলু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইউকে বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শহীদ।

সভায় অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল মামলা  প্রত্যাহার করে বিদেশে উন্নত ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জোর দাবি জানানো হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করা না হলে এই সরকার পালানোর পথ খোঁজে পাবে না বলেও সতর্ক করে দেয়া হয়।

বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে যে গণ আন্দোলনকে গণ অভুত্থানে রুপ দিয়ে মাফিয়া সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা হবে। সভায় নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ড বিএনপির সভাপতি শরিফ উদ্দিন, জার্মান বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা সেলিম খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত, বাবুল চৌধুরী, শাহিন মিয়া, টিপু আহমেদ,  সেলিম আহমেদ ( সহ দপ্তরের দায়িত্বে )  সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ( যুগ্ম সম্পাদক পদ মর্যাদা ) ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুরিয়া, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, মিডলসেক্স বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বশির আহমেদ, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাবেক সম্পাদক এস এম লিটন, নিউহাম বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় জাসাসে সাবেক  সহসভাপতি এম এ সালাম, জাসাস ইউরোপের সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম আর মামুন, নির্বাহী সদস্য বাবর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এ জে লিমন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দেলোয়ার হোসেন শাহিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার লিয়াকত আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ এনাম তানিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার শামসুজ্জোহা, সহ প্রচার সম্পাদক মইনুল ইসলাম,  সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক সরফরাজ আহমেদ শরফু,  সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক  মোঃ তৌকির শাহ, সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ আহমেদ, নির্বাহী সদস্য ইউনুস পাঠান বুলু, আলী আকবর খোকন, নজরুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোঃ নুর বকস, বিএনপি নেতা গোলাম সরওয়ার,  যুক্তরাজ্য যুবদল নেতা দেওয়ান আব্দুল বাসিত, আক্তার হোসেন শাহিন, শানুর মিয়া, সৈয়দ লায়েক মোস্তাফা, সাব্বির আহমেদ সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম শিমু, আজিম উদ্দিন, আকমল হোসেন,  লন্ডন মহানগর বিএনপিনেতা মোঃ আব্দুল কদ্দুস, রোমান আহমেদ চৌধুরী, তুহিন মোল্লা, সোহেল আহমেদ, শরিফুল ইসলাম তুহিন, আছাব আলী, মোঃ নুরুল ইসলাম তোতা মাস্টার, সিদ্দিকুর রহমান অলি ওয়াদুদ.জমির আলী, মবিন ভুইয়া কাজল, রানা আহমেদ সোহেল, শেখ খালেদ আহমদ মিনহাজ, আরিফুল ইসলাম উজ্জল, মুজিবুর রহমান, আব্দুল হক শাওন, মোঃ আমির হোসেন, শেরওয়ান আলী, জামাল হোসেন, ইরাক চৌধুরী, হালিমুল ইসলাম হালিম, মোঃ রফিক আহমদ, সাহেদ আহমদ, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মোঃ শায়েক আহমদ, গাজী রফিক, মোশরফ হোসেন সোহাগ, মোঃ মিজানুর রহমান, জাকির খান, জাহাঙ্গীর খান, রোহান তারিক, ফাহিদুল আলম, শিশির আহমদ, রাহিদুল ইসলাম, ছাইদ উর রহমান ছাইদ, জাফরুল করিম, কামরল হাসান ভুইয়া, মোল্লা ফিরোজ, সোয়েব ইসলাম, নুর উদিদন, এমরান আহমদ, ওয়াকিল আহমদ, মেহেদি হাসান, মাসুদুল আলম, শ্রমিক নেতা আব্দুস সামাদ, মোঃ আরিফুল ইসলাম, আহসানুল আম্বিয়া শোভন প্রমুখ।


Spread the love

Leave a Reply