রাশিয়া থেকে ৬০০০ বর্গ কিলোমিটার পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন, বলেছেন জেলেনস্কি

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার দখল থেকে ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা ইউক্রেনের বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, পূর্ব ও দক্ষিণ এলাকায় তাদের সেনারা এসব এলাকা পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

তবে বিবিসি নিরপেক্ষভাবে এই দাবি যাচাই করে দেখতে পারেনি।

রাশিয়া স্বীকার করেছে যে, তারা খারকিভ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে এক বিরল ঘোষণায় উপস্থাপক বলেছেন, ”স্পেশাল অপারেশনের লড়াইয়ে এটা ছিল সবচেয়ে কঠিন এক সপ্তাহ। বিশেষ করে খারকিভ যুদ্ধে সৈন্যরা যেসব শহর স্বাধীন করেছিল ,সংখ্যাগরিষ্ঠ শত্রু বাহিনীর আক্রমণে সেখান থেকে আমাদের সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।”

স্বাধীন এলাকা বলতে সেসব এলাকাকে বোঝানো হচ্ছে, গত কয়েকমাসে যেসব এলাকা রুশ বাহিনী দখল করেছিল।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটা এই যুদ্ধের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পালাবদল।

সৈন্য সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মস্কো ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, লুহানস্ক এবং দনেৎস্ক এলাকার দিকে গুরুত্ব দিতে তারা সৈন্য স্থানান্তর করেছে।

তবে এই দাবি নিয়ে এমনকি রাশিয়াতেই ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে রাশিয়ার অনেকেই বলেছেন, এই প্রত্যাহার ‘লজ্জাজনক’।

রাশিয়ার সরকারি পত্রিকা রোজিয়াস্কায়া গেজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ”বালাকলিয়া, কুপিয়ানস্ক এবং ইযুয়ুম থেকে রাশিয়ার সৈন্যরা লজ্জাজনকভাবে পালিয়ে গেছে বলে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা সত্যি নয়। তারা পালিয়ে যায়নি, এটা ছিল পূর্বপরিকল্পিত সৈন্য স্থানান্তর।”

তবে মস্কোর সামরিক বিশ্লেষক ট্যাবলয়েড মস্কোভিস্কি কোমসোমোলেটস ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে বলেছে, ”এটা পরিষ্কার যে, আমার শত্রুপক্ষকে খাটো করে দেখেছিলাম। রাশিয়ার সৈন্যদের অনেক সময় লেগে গেছে সেটা বুঝতে এবং বিপর্যয় এসেছে। ফলে আমাদের পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং সৈন্য সরিয়ে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে না হয়।”

বিবিসির জেমস ওয়াটারহাউজ বলেছেন, গত মার্চ মাসে কিয়েভে দখলে ব্যর্থতার পর এটাই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক পরাজয়।

সোমবার এই প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, পাল্টা হামলায় ইউক্রেনের বাহিনী বেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে, কিন্তু যুদ্ধের ফলাফলের আভাস দেয়ার মতো সময় এখনো আসেনি।

এ বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পুরোদমে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এখনো দেশটির এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে রাশিয়া, কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনীর সফলতার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পিছু হটতে হচ্ছে।


Spread the love

Leave a Reply