হিলারি ছাড়া কাউকেই প্রতিদ্বন্দি ভাবছেন না ট্রাম্প!

Spread the love

rs_1024x759-150709052426-1024.Donald-Trump-Hillary-Clinton-JR-70915_copyবাংলা সংলাপ ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মনোনয়নের দৌড়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে হিলারি ক্লিনটনকেই এগিয়ে রাখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর রিপাবলিকানদের মধ্যে নিজেকেই যোগ্যতম দাবি করে জেব বুশের পতনের দায়ভার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, মূল নির্বাচনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হিলারিকেই দেখতে পাচ্ছি আমি।

সাউথ ক্যারোলাইনার ২য় প্রাইমারি নির্বাচনেও বড় জয়ের পর রোববার ফ্লোরিডায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হলে মার্কিন জনগণের জন্য নতুন কি কি যোগ করবেন সে বিষয়ে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্কট, স্বাস্থ্যসেবাসহ সব সমস্যার সমাধান একমাত্র তিনিই করতে পারবেন বলে দাবি করেন এই মাল্টি বিলিয়নেয়ার। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হিলারি ক্লিনটনকেই দেখেন বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ইরাক যুদ্ধের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে দায়ী করে তার ভাই জেব বুশের পরাজয়ের জন্য বুশ পরিবারের যুদ্ধনীতির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, জেব বুশের লজ্জাজনক পরাজয়ের জন্য অনেকে আমার বড় জয়কে দায়ী করছেন। এটা হাস্যকর। রিপাবলিকানদের মধ্যে আমার সবচেয়ে দুর্বলতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বুশ। তার পরিবারের যুদ্ধনীতির কারণে জনসমর্থন তার বিপক্ষে।

আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের পর সাউথ ক্যারোলাইনা ও নেভাদায় চূড়ান্ত পরাজয়ের কারণে জেব বুশের ঝরে পড়ার পর রিপাবলিকান প্রার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় সামনের লড়াই আরো কঠিন হবে বলে মনে করছেন দৌড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থী।

মার্কো রুবিও বলেন, রিপাবলিকানদের মধ্যে এখন লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। এখন ভোটারদের বাছাইয়ের সুযোগ আরো কমে গেছে। ফলে আমাদের লড়াইয়ের সুযোগ বেড়েছে।

টেড ক্রুজ বলেন, ট্রাম্পের মতো মিথ্যা প্রচারণায় সময় নষ্ট করবো না আমি। আমার জয় পরাজয় কোনটাই ট্রাম্পের ভোটার বাড়া কমার ওপর নির্ভর করে না। তবে এবার লড়াইটা বেশ উপভোগ্য হবে বলেই মনে হচ্ছে।

এদিকে, নেভাদায় সামান্য ব্যবধানে হেরে হিলারির কাছে পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্যান্ডার্স। তিনি বলেন, নিউ হ্যাম্পশায়ারে হারের পর নেভাদা বিজয়ের জন্য প্রচারণায় জোর পরিশ্রম করেছেন হিলারি ও তার সমর্থকরা।

স্যান্ডার্স বলেন, হিলারির এ বিজয় তার প্রাপ্য ছিলো। তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। তবে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। আমাদের মনে রাখতে হবে মার্কিন ভোটাররা এখন অনেক বেশি সচেতন ও প্রগতিশীল।

নিউ হ্যাম্পশায়ারে হারের পর নিজের বিজয়ে উচ্ছ্বসিত হিলারিও। রোববার গভীর রাতে টেক্সাসে এক সমাবেশে তিনি বলেন, স্যান্ডার্সের চ্যালেঞ্জের কড়া জবাব দিয়েছেন তা সমর্থকরা। ভবিষ্যৎ এখন তাদের হাতের মুঠোয় বলেও মন্তব্য করেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


Spread the love

Leave a Reply